বিনোদন

প্রেমিকাকে ছেড়ে দাও, নয়তো সিনেমা, সাইফকে বলেছিলেন পরিচালক

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। যশ চোপড়া পরিচালিত ‘পরম্পরা’ সিনেমার মাধ্যমে তার বলিউডে পথচলা শুরু। আর মুখ্য ভূমিকায় অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ইয়ে দিল লাগি’ ও ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’। কিন্তু রাহুল রাওয়াল পরিচালিত ‘বেখুদি’ সিনেমার মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরুর কথা ছিল। আর তার সঙ্গী হওয়ার কথা ছিলেন—কাজল। তা আর হয়নি। কারণ শুটিং শুরুর প্রথম দিনে বাদ পড়েছিলেন সাইফ।

অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেকবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন সাইফ আলী খান। এ নিয়ে বেশ আগে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছিলেন এই অভিনেতা। পুরোনো সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে সাইফকে বলতে শোনা যায়, প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপ করতে বলেছিলেন পরিচালক। 

সাইফ আলী খান বলেন, “স্ট্রাগল মানে কী? অটো রিকশায় উঠে পড়েন, একই জায়গায় দশবার যান। কোনো অফিসে গিয়ে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেন; এটাকেই তারা স্ট্রাগল বলেন। আমারও স্ট্রাগল ছিল। কিন্তু একটু আলাদা। প্রথম সিনেমা থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ আমার পরিচালক বলছিলেন, ‘তোমার প্রেমিকাকে ছেড়ে দাও, নয়তো সিনেমা ছাড়ো।’ এটা ছিল এক ধরনের নৈতিক সিদ্ধান্ত।”

অন্যদের চেয়ে আপনি কীভাবে ভিন্ন? এ প্রশ্নের জবাবে সাইফ আলী খান বলেন, “স্কুলের পর আমি খুব একটা পড়াশোনা করিনি, হয়তো পরে করব। আমি মনে করি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কিছু বিষয় খুব একটা গুরুত্ব দিই না, যেগুলো অন্যরা দেখে। যেমন: ‘তোমার বাবা কী করেন?’ লোকে বলে আমি খুব খোলামেলা, এমনকি অপরিচিতদের সাথেও।”

‘বেখুদি’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন মাতাল অবস্থায় সেটে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছিল সাইফ আলী খানের বিরুদ্ধে। তখন লেহরেন-কে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে সাইফ বলেছিলেন, “এই অভিযোগের কারণে পরবর্তীতে কেউই আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইছিল না। আমার মনে হয়, রাহুল ভাবছিলেন—আমি সিনেমার প্রতি আগ্রহী নই, আমি কাজ করতে চাই না। তারপর আরো অনেক গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যেমন: ‘আমি সেটে মাতাল হয়ে যেতাম, আমি ঘুমিয়ে থাকতাম।’ যদিও এগুলো পুরোনো কথা। কিন্তু এসব আমার উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।”

পরবর্তীতে ‘বেখুদি’ সিনেমায় সাইফের পরিবর্তে পরিচালক রাহুল রাওয়াল কামাল সাদানাহকে কাস্ট করেন। সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কাজল। ১৯৯২ সালের ৩১ জুলাই মুক্তি পায় সিনেমাটি।

১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় সাইফ অভিনীত ‘হাম সাথ সাথ হায়’ সিনেমা। মুক্তির পর এটি তুমুল হিট হয়। যদিও সাইফ মনে করেন, তার ভেতরে যে অভিনয়প্রতিভা আছে, তা সবাই প্রথম লক্ষ্য করেন ২০০১ সালে, ‘দিল চাহতা হ্যায়’ সিনেমা মুক্তির পর।

সাইফ অভিনীত ‘কাল হো না হো’ সিনেমা ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। এটি মুক্তির পর সাইফ আলী খানের অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর ‘হাম তুম’ সিনেমার জন্য তো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই পেয়ে যান সাইফ। তাছাড়া ‘পরিণীতা’ সিনেমায় সাইফের ভূয়সী প্রশংসা করেন সমালোচকেরা। এরপর ‘সালাম নামাস্তে’, ‘ওমকারা’, ‘রেস’, ‘লাভ আজকাল’, ‘ককটেল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন সাইফ।