সারা বাংলা

কক্সবাজারে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় পুলিশ আহত, আটক ৩

কক্সবাজার কস্তুরাঘাটে বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে হামলা হয়েছে। এসময় দখলদারদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে পুলিশের  এক সদস্য আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে তিনজনকে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযানের শুরুতেই পুলিশের পর হামলা হয়। এর আগে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে দখলকৃত স্থাপনার মালামাল ও ভরাট মাটি প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়। 

আজ মঙ্গলবার সকালে কস্তুরাঘাট-খুরুশকূল সংযোগ সেতু সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এতে দখলদাররা বাধা দেন। তাদের নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে পুলিশের কনস্টেবল করিম আহত হন। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, ঘটনার সময় হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, “দুই দিনে তিন একরের বেশি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। প্রথম দিনের উচ্ছেদ হওয়া মালামাল ও ভরাট মাটি নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। মঙ্গলবারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর জব্দকৃত মালামাল নিলাম হবে।”

তিনি জানান, ৮১ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁকখালী নদীর সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে কস্তুরাঘাট-নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকা। গত ১০-১২ বছরে এক হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। 

২০১০ সালের প্রজ্ঞাপনে বাঁকখালী নদীবন্দরের সংরক্ষক হিসেবে বিআইডব্লিউটিএকে দায়িত্ব দিলেও জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় দখল অব্যাহত থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে যৌথ অভিযানে ৬ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আবারো নদীর তীর দখল হয়ে যায়। গত ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট নির্দেশনা দেয়, চার মাসের মধ্যে সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হবে। এরই প্রেক্ষিতেই গতকাল সোমবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই অভিযানে নদীর তীরে গড়ে ওঠা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরপর নদীর সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।”