খেলাধুলা

অভিষেকেই দুঃস্বপ্ন, লজ্জার রেকর্ড গড়লেন ইংলিশ পেসার সনি বেকার

দ্য হান্ড্রেডে ঝলক দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা পেলেও আন্তর্জাতিক অভিষেকটা একেবারেই ভুলে যাওয়ার মতো হয়ে গেল সনি বেকারের। লিডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ ইংল্যান্ডের হয়ে বেকার গড়লেন বিব্রতকর এক রেকর্ড। অভিষেকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলার হওয়ার।

২২ বছর বয়সী এই পেসার ৭ ওভারে কোনো উইকেট পাননি। বরং খরচ করেছেন ৭৬ রান। অর্থাৎ তার ইকোনমি দাঁড়িয়েছে ওভারপ্রতি ১০.৮৫, যা অভিষেক ওয়ানডেতে কোনো ইংলিশ বোলারের জন্য সর্বোচ্চ। এর আগে এই রেকর্ড ছিল লিয়াম ডসনের দখলে। যিনি ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ ওভারে দিয়েছিলেন ৭০ রান (ইকোনমি ৮.৭৫)। সব মিলিয়ে ওয়ানডে অভিষেকে রান খরচের দিক থেকে বেকারের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। তালিকার শীর্ষে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেডিয়াহ ব্লেডস। যিনি গত বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ ওভারে দিয়েছিলেন ৭৩ রান।

ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরু থেকেই ছিল বিপর্যয়ে ভরা। জেমি স্মিথ একাই ফিফটি (৫০+) তুলে নিলেও অন্যরা ছিলেন নিষ্প্রভ। ফলে মাত্র ২৪.৩ ওভারেই স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ১৩১ রানে। যা ওয়ানডেতে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। একই সঙ্গে ২৪.৩ ওভারে অলআউট হওয়া ইংলিশদের ইতিহাসে দ্রুততম পঞ্চম ভেঙে পড়া। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশভ মহারাজ নেন ৪ উইকেট। আর উইয়ান মুল্ডার ঝুলিতে ভরেন ৩ উইকেট।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়ারা শুরু থেকেই ঝড় তোলে। বেকারের প্রথম ওভারেই আসে ১৪ রান। তৃতীয় ওভারে ২০ আর চতুর্থ ওভারে ১২ রান। ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত হাতছাড়া। অন্য প্রান্তে জোফরা আর্চার ছিলেন ধারালো। তিন ওভারে দেন মাত্র ৫ রান এবং পান একটি মেইডেনও। কিন্তু বেকারের লেন্থহীন বোলিং দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের উৎসবে পরিণত করে ম্যাচ।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেন এইডেন মার্করাম। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রোটিয়া ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম অর্ধশতক গড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত মার্করাম খেলেন ৫৫ বলে ৮৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, যেখানে ছিল ১৩ চার ও ২ ছক্কা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রায়ান রিকেলটন। যিনি ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। যদিও জয়ের জন্য মাত্র ১ রান বাকি থাকতে টেম্বা বাভুমা ও ক্রিস্টিয়ান স্টাবস আউট হয়ে যান। তবুও ১৭৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রোটিয়াদের ৩ উইকেটই নেন ইংল্যান্ডের লেগস্পিনার আদিল রশিদ। তবুও ব্যবধান রইল বিশাল। এটি ছিল বলের হিসাবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে তারা ১৮৪ বল হাতে রেখে জিতেছিল।