চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ১৩ তিন চালু থাকার পর গত ২৭ আগস্ট থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আমদানিকারকরা জানান, নতুন করে সরকার পেঁয়াজ আমাদানির অনুমতি দিচ্ছে না। যে কারণে বন্ধ রয়েছে আমদানি কার্যক্রম।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ।
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে এখানকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৮ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল, ৬৫-৭০ টাকা কেজি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এরপর ১৪ আগস্ট পেঁয়াজ আমাদনি শুরু হয়। একটানা ১৪ দিন পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম চলার পর ২৭ আগস্ট তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কিছুটা হলেও কর্মচাঞ্চল্য কমেছে।
আমদানিকারকরা জানান, এবার একেকজন ব্যবসায়ীকে ৩০ থেকে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। যা আমদানিকারকদের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের অনুমতি দেওয়া পেঁয়াজ আমদানি হয়ে গেছে। নতুন করে সরকার অনুমতি না দেওয়ায় বন্ধ রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।
পেঁয়াজ আমদানিকারক আজিজুল ইসলাম বলেন, “এবার ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ইতোমধ্যে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করে দিয়েছি। নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাইনি। আমার মতো অন্য আমদানিকারকদের একই দশা।”
সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, “সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ১৭৮জন ব্যবসায়ীকে প্রায় ৫ হাজার ২২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ১৪ থেকে ২৭ আগস্টের মধ্যে আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসেন। এরপর সরকার নতুন করে আর পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়নি। যে কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি আবারো বন্ধ হয়ে গেছে।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। শিবগঞ্জ বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, “কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। বর্তমানে রকমভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৮ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আগে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬৫-৭০টাকা কেজি। ”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এক্সপার্ট কিউরার মোহা. শহীদুল ইসলাম বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।”