আন্তর্জাতিক

পর্তুগালে ক্যাবল রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫, জাতীয় শোক ঘোষণা

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের প্রাণকেন্দ্রে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এলিভাদোর গ্লোরিয়া নামের একটি ফানিকুলার (ক্যাবল রেল) দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ১৮ জন। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজক। 

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে লিসবনের লিবার্টি এভিনিউয়ে গ্লোরিয়া ফানিকুলার ক্যাবল রেলের একটি ক্যারেজ দ্রুতগতিতে নিচে নামতে গিয়ে পাশের একটি ভবনে ধাক্কা খায়। মুহূর্তেই এটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। 

নিহত ও আহতদের মধ্যে দেশি-বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তবে বিদেশিদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।আহতদের লিসবনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার পর্তুগালে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। লিসবনে তিন দিনের শোক পালনের কথাও জানিয়েছেন শহরের মেয়র কার্লোস মোয়েদা।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের শহরে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। যে কোনো পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকবে শহর কর্তৃপক্ষ।”

উল্লেখ্য, এলিভাদোর গ্লোরিয়া নামের ফানিকুলার (ক্যাবল রেল) শহরের প্রাণকেন্দ্রে রেসতোরাদোস থেকে বাইরো আলতো এরিয়াতে নিচ থেকে ওপরে বা ওপর থেকে নিচে যাত্রী পারাপার করে। এটি ১৮৮৫ সাল থেকে প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ১৪০ বছর ব্যবহার হয়ে আসছে। লিসবন শহরটি ৭টি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত। এর ফলে ওপর থেকে নিচে আবার নিচ থেকে ওপরে পথচারীদের পারাপারের জন্য শহরের বিভিন্ন অংশে এই ধরনের সেবা চালু আছে। তবে এগুলো পর্যটকদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়। এ কারণে গ্লোরিয়া ফানিকুলার লিসবনের সবচেয়ে বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান।