ক্যাম্পাস

লাইব্রেরি থেকে বই চুরি, প্রাধ্যক্ষ বললেন আমি কি বসে বসে পাহারা দেব?

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রী হলের লাইব্রেরি থেকে নিয়মিত চুরি হচ্ছে বই। এতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ পর্যন্ত হারানো বা চুরি হওয়া বইয়ের সংখ্যা অনেক। তবে কবে চুরির ঘটনাটি ঘটেছে, তা নিশ্চিত করা যায়নি।

জানা যায়, ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা হলের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় লাইব্রেরিতে পড়তে যান। নিজস্ব বই নিয়ে লাইব্রেরিতে পড়তে যায় ঠিকই। কিন্তু লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে রুমে কিংবা কোনো কাজে গেলেই বইগুলো আর জায়গা মতো থাকে না। কে বা কারা চুরি করে। কিন্তু হল প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চাইলে বা সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে অনীহা প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লাইব্রেরি থেকে বই চোর ধরার জন্য জানালে হলের সেকশন অফিসার আনোয়ার হোসেন ফুটেজ দেখে ওই চোরকে শনাক্ত করেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি জেনেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

এ নিয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশা বলেন, “বইগুলো অনেক দামি। নতুন করে কেনা সম্ভব না। লাইব্রেরি থেকে পড়ে একটু নামাজ পড়তে রুমে এসে আবার গিয়ে দেখি বই নেই। সবসময় সঙ্গে করে তো বই রুমে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না।”

তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে হলের অফিসে একটি অভিযোগপত্রও জমা দিয়েছি। বই পেতে অনেকদিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা হয়নি।”

হলের সেকশন অফিসার আনোয়ার বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, কিন্তু আমার তো ফুটেজ দেখার সময় থাকতে হবে। কখন ফুটেজ দেখব। বই দেখে রাখার দায়িত্ব আমাদের না।”

সেকশন অফিসারের মতোই কথা বলেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনজুম আরাও। তিনি বলেন, “আমি কি বসে বসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখব? বই পাহারা দেওয়া প্রশাসনের দায়িত্ব না।”

ব্যাবস্থা গ্রহণের বিষয় তিনি বলেন, “মেয়েদের বলেন এসে সিসিটিভি দেখতে। লাইব্রেরিতে বই রাখার নিয়ম নেই, তারা জানে না?”