নেপালের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে গোলের দেখা পেল না বাংলাদেশ। দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষ হলো ০-০ সমতায়।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গত জুনে শেষ ম্যাচ খেলার পর দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমেছিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। তবে সে দলে থাকা পাঁচজন ফুটবলার এবার ছিলেন না। আলোচনায় থাকা হামজা চৌধুরী ও সমিত সোমরা ক্লাব দায়িত্বের কারণে খেলতে পারেননি। পূর্ণ শক্তির একাদশ না পাওয়ার প্রভাব পড়েছে ফলাফলে।
ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশ সতর্ক খেলেছে রক্ষণভাগে। এএফসি কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই কাঠমান্ডুর মাঠকে আন্তর্জাতিক মানের অনুপযোগী ঘোষণা দিয়েছিল। ইনজুরির আশঙ্কা মাথায় রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবলের বদলে নিরাপদ খেলার দিকেই ঝুঁকেছিল লাল-সবুজ।
তবুও কিছু সুযোগ এসেছিল। প্রথমার্ধের নবম মিনিটে এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৭৮ মিনিটে গোল পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে নেপালের গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় ব্যর্থ হয় জামাল ভূঁইয়ারা। অন্যদিকে নেপালও কয়েকবার বাংলাদেশের ডি-বক্সে ঢুকলেও কার্যকর কোনো আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে নেপাল শক্ত প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে ভালো ফল করেছে। মালয়েশিয়াকে হারানো এবং হংকংয়ের সঙ্গে ড্র তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল। বাংলাদেশকে হারাতে না পারলেও নিজেদের দৃঢ়তা আবারও প্রমাণ করল তারা।
বাংলাদেশের সামনে এখনো সুযোগ রয়েছে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার। নেপালের সঙ্গে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে জয় পেলে ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আরও উজ্জীবিত হয়ে নামতে পারবে লাল-সবুজ শিবির।