খেলাধুলা

জিতেও খুশি নয় ইংল্যান্ডে কোচ টুখল

ডেক্লান রাইসের গোলে অবশেষে স্বস্তির জয় পেল ইংল্যান্ড। তবে ২-০ ব্যবধানের এ জয়েও তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। শনিবার দিবাগত রাতে ভিলা পার্কে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে অ্যান্ডোরাকে হারিয়ে টমাস টুখলের দল টানা চার ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেলেও খেলার ধার অনেকটাই ছিল নিস্তেজ।

পুরো ম্যাচে ৮৩ শতাংশ সময় বল দখলে রাখলেও অ্যান্ডোরার গোলরক্ষককে খুব বেশি ভাবনায় ফেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। ২৫ মিনিটে ননি মাদুয়েকের ক্রস ভুলবশত নিজেদের জালেই পাঠান অ্যান্ডোরা ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান গার্সিয়া। এতে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধে রিস জেমসের নিখুঁত ক্রস থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাইস।

জয়ের পরও সন্তুষ্ট নন ইংল্যান্ড কোচ টমাস টুখল। তিনি বলেন, “এনার্জি ও মানসিকতা ঠিক ছিল, গুণগত মানও ছিল। তবে আমাদের আরও গোল করা উচিত ছিল। অ্যান্ডোরার মতো দলকে ভাঙা অনেকটা চুইংগাম চিবানোর মতো, অসহ্য ধীর, কঠিন।”

ইউরোপের চতুর্থ সবচেয়ে দুর্বল দল অ্যান্ডোরার বিপক্ষে খেলার আগেই টুখল জানতেন এ রকম চ্যালেঞ্জ আসবে। বাস্তবেও হলো তাই। গোলের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা, সুযোগ হাতছাড়া আর দর্শকদের হতাশা।

খেলার শুরুতেই হ্যারি কেনের শট রুখে দেন অ্যান্ডোরার রক্ষকরা। এরপর এবে এরেজের শটও গোললাইন থেকে ঠেকান ল্লোভেরা। তবে গার্সিয়ার আত্মঘাতী গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

বিরতির পর মাদুয়েকে ও রাশফোর্ডের শট গোল মিস করে। ইলিয়ট অ্যান্ডারসনের শটও রুখে দেন কিপার আলভারেজ। ৬৭ মিনিটে জেমসের নিখুঁত ক্রসে হেড করে রাইস গোল করলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে ভিলা পার্কে। শেষ মুহূর্তে ভিএআর একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করলে ২-০ তেই শেষ হয় ম্যাচ।

এ জয়ের পরও ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা মঙ্গলবার। যখন সার্বিয়ার মাঠে নামবে তারা। টুখল জানেন, সেখানেও অপেক্ষা করছে শক্ত ডিফেন্স ভাঙার লড়াই, “আমরা জানি সামনে কী আসছে। বাইরে গিয়ে সার্বিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ সবসময় কঠিন। তবে এটাই আমাদের বড় সুযোগ, যোগ্যতার পথে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারব।’’