প্রতিদিন একই ফিটনেস রুটিন অনসরণ করলে কিছুক্ষণ পর একঘেয়ে লাগতে পারে। এজন্য বর্তমানে যে ব্যায়ামগুলো করছেন তা সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দেওয়ার দরকার নেই। তবে কমিয়ে আনতে পারেন। তার বদলে ফিটনেস রুটিনে যুক্ত করে নিতে পারেন ‘পেছনে হাঁটার অভ্যাস’।
সপ্তাহে কয়েকবার ১০-২০ মিনিট পিছনে হাঁটা বা জগিং করার মতো অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার মন এবং শরীর নানাভাবে উপকৃত হবে।
কেন পেছনে হাঁটবেন আপাতদৃষ্টিতে, পেছনে হাঁটা বোকামি বা অকেজো মনে হতে পারে। তবে এই অভ্যাস আপনার বিভিন্ন পেশীকে সচেতন করে তুলতে পারে, মনোযোগ বাড়াতে পারে।
পেছনে হাঁটার মানসিক উপকারিতা • শরীরের সচেতনতা বৃদ্ধি • শরীরের সমন্বয় এবং নড়াচড়া বৃদ্ধি • ব্যায়ামের একঘেয়েমি এড়াতে সাহায্য করে • মেজাজ উন্নত করে • ঘুম উন্নত করতে সাহায্য করে • অনুমান করার ক্ষমতা বাড়ে • চিন্তাভাবনা তীক্ষ্ণ করে এবং জ্ঞান বাড়ায় • ইন্দ্রিয়গুলিকে অতিরিক্ত কাজে লাগায়, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
পেছনে হাঁটার শারীরিক উপকারিতা • পায়ের পেশীগুলিতে শক্তি বৃদ্ধি করে • হাঁটুর আঘাতজনিত ব্যথা কমায় • হাঁটার কৌশল উন্নত করে • ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে • ক্যালোরি পোড়ায় • আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে • হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করে • শক্তির মাত্রা বাড়ায় • শরীরের বিপাক উন্নত করে
অন্যান্য সুবিধা যদিও স্বাভাবিকভাবে হাঁটা (সামনের দিকে হাঁটা) এমন একটি অভ্যাস যা আমরা প্রতিদিন কোনোরকম সচেতন চিন্তাভাবনা ছাড়াই করি, পেছনে হাঁটার ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হয়। এতে পায়ের সহনশীলতা দ্রুত উন্নত হয়। কারণ আপনি আপনার শরীরকে নতুন একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহনের জন্য উৎসাহিত করে থাকেন। যা আপনার শারীরিক সুস্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
জার্নাল অফ বায়োমেকানিক্স-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘‘সামনে দৌড়ানোর চেয়ে পেছনে দৌড়ালে হাঁটুর ব্যথা দ্রুত কমে।’’
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘‘পেছনে দৌড়ানো এবং হাঁটার সংমিশ্রণ কার্ডিওরেসপিরেটরি ফিটনেস উন্নত করতে পারে এবং শরীরের গঠন পরিবর্তন করতে পারে।’’
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন