জাতীয়

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কাজে লাগানো হবে গবেষণার ফলাফল: সচিব

নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত গবেষণালব্ধ ফলাফল নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে এবং জনহিতকর কাজে প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অনলাইন ফেলোশিপ কার্যক্রম-২০২৫’ উদ্বোধনের সময় তিনি এই কথা বলেন।

খাদ্য সচিব বলেন, “দেশে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে তরুণ গবেষকদের গবেষণা ও উদ্ভাবনে উৎসাহ দিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ফেলোশিপ কার্যক্রম-২০২৫ চালু করছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ফেলোশিপ নীতিমালা-২০২৪ এর আলোকে এ ফেলোশিপ চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে তরুণ গবেষকদের এ খাতে গবেষণা করার সুযোগ বৃদ্ধি পাবেন।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো এ কার্যক্রম চালু করছে। এই বছর সাধারণ ফেলোশিপ-১ ক্যাটাগরিতে (এমএস/সমমান) কম-বেশি ২০ জন ফেলো বাছাই করা হবে।”

তিনি জানান, ফেলোশিপ নীতিমালা-২০২৪ এর আওতায় ১৪টি গবেষণা ক্ষেত্র নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে খাদ্য অণুজীব বিজ্ঞান, খাদ্য রসায়ন, খাদ্য বিষবিদ্যা, খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, উদীয়মান প্রযুক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।

ফেলোশিপ কার্যক্রমের আওতায় নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত গবেষণা, উদ্ভাবন ও দক্ষ জনবল তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ দেশের খাদ্য নিরাপদত্তা নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, “আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করতে এটুআই এর সহযোগিতায় MyGov প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া ডিজিটাইজড করা হয়েছে। ফলে আবেদন কেবল অনলাইন পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে।”

এ সময় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়াসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।