শেষ মুহূর্তে সান্দ্রো টোনালির দুর্দান্ত গোলেই রক্ষা পেল ইতালি। ৯ গোলের এক রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে সোমবার দিবাগত রাতে হাঙ্গেরিতে ইসরায়েলকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আরেকটি ধাক্কা এড়াল আজ্জুরিরা।
গত জুনে নরওয়ের কাছে ৩-০ গোলের পরাজয়ে চাপে পড়ে যায় ইতালি। তার ওপর ইসরায়েল দুইবার এগিয়ে গিয়ে আরও দুশ্চিন্তা বাড়ায়। তবে মোইসে কিন দুই অর্ধে দু’বার সমতা ফেরান দারুণ দক্ষতায়। এরপর ৫৯ মিনিটে মাত্তেও রেতেগুইয়ের ব্যাকহিল পাস থেকে মাত্তেও পলিতানো গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। কিছুক্ষণ পরই জিয়াকোমো রাসপাদোরি চতুর্থ গোল যোগ করলে মনে হচ্ছিল, জয়ের পথে নিশ্চিতভাবে এগোচ্ছে ইতালি।
কিন্তু ম্যাচের নাটক তখনো বাকি। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ডর পেরেতজের জোড়া গোলে ইসরায়েল সমতায় ফেরে, স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪ এ।
অবশেষে ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই টোনালি এক বাঁকানো শট নেন। তেমন বিপজ্জনক মনে না হলেও বলটি ডিফেন্ডার-গোলকিপারের ফাঁক গলে জালে জড়িয়ে যায়। সেই গোলই নিশ্চিত করে ইতালির নাটকীয় জয়।
ম্যাচে ইতালির ডিফেন্স ছিল একেবারেই নড়বড়ে। দুটি আত্মঘাতী গোলের সঙ্গে নতুন ম্যানচেস্টার সিটি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার কয়েকটি মারাত্মক ভুল সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
খালি গ্যালারির মাঝেই ম্যাচ ঘিরে ছিল রাজনৈতিক আবহ। সম্প্রতি গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল ইতালির কোচদের সংগঠন। ম্যাচে ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় হুইসেল শোনা যায় গ্যালারিতে। অন্যদিকে, জেরুজালেমে এক বন্দুক হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নামে ইসরায়েলি খেলোয়াড়রা।
এই জয়ে গ্রুপ ‘আই’-এ ইসরায়েলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইতালি। চার ম্যাচে চার জয়ে শীর্ষে নরওয়ে, যারা মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে তলানির দল মলদোভার।