ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার্জন হলের দোতালায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে এক শিক্ষার্থীকে আগে পূরণ করা ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমান চৌধুরী এমন ঘটনা ঘটান বলে জানান কেন্দ্রে উপস্থিত সীমা আক্তারের পোলিং এজেন্ট রাজিমুল ইসলাম ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পোলিং এজেন্ট। অভিযুক্ত অমর একুশে হলের কর্মকর্তা।
পোলিং এজেন্টরা জানান, শুরুতে একজন ভোটারকে ব্যালটের একটি পেপারের দুইটি কপি দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই ভোটার দুইটি পেপারই পূরণ করে ফেলেন। পরে তিনি একটি ব্যালট ভোট বাক্সে ফেলেন এবং অন্যটি টেবিলে জমা দেন। এরপর আরেক ভোটার এলে আগে পূরণ করা ফেরত দেওয়া ব্যালট পেপার তাকে দেওয়া হয়েছিল। সেটি পূরণ করা থাকায় ওই ভোটার সেটি ফেরত দেন। বিষয়টি পরবর্তীতে ভালোভাবে সমাধান করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমান চৌধুরী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “অনিচ্ছাকৃত হয়ে গেছে আরকি।”
ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ২০ হাজার ৮৭৩ জন ছাত্র এবং ১৮ হাজার ৯০২ জন ছাত্রী। ছাত্রী ভোটারদের শতকরা হার ৪৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, আর ছাত্রদের হার ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
ছাত্র ভোটারদের মধ্যে অমর একুশে হলে ১২৯৫ জন, কবি জসীমউদ্দিন হলে ১৩০৩ জন, জগন্নাথ হলে ২২২২ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১৬০৬ জন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ১৯৯৮ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ১৭৬২ জন, বিজয় একাত্তর হলে ২০২৭ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ১৭৫১ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ১৯৫৭ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬৬৪ জন, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ১৪৯৯ জন, স্যার এ এফ রহমান হলে ১৩৭৭ জন এবং হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে ১৪০২ জন রয়েছেন।
ছাত্রী ভোটারদের মধ্যে রোকেয়া হলে ৫৬৪১ জন, শামসুন নাহার হলে ৪০৮৪ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ২১০৩ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৪৪৩৪ জন এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ২৬৪০ জন আছেন।