সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রপাগান্ডা চালিয়ে ভোট কমানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শামীম হোসেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ভোটপ্রদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম হোসেন বলেন, “কিছু চিহ্নিত সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আমাকে ট্যাগিং দেওয়া হচ্ছে। আমি আগেই আশঙ্কা করেছিলাম- এভাবে প্রপাগান্ডা চালিয়ে আমার ভোট কমানোর চেষ্টা চলবে। তবে শিক্ষার্থীরা সচেতন, তারা প্রার্থী বাছাইয়ে কোনো ভুল করবে না।’
তিনি আরো বলেন, “প্রতিপক্ষ আমার জনপ্রিয়তা বুঝেই এসব অপচেষ্টা করছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীরা ব্যালটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।”
ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শামীম বলেন, ‘ভোটগ্রহণের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ইতিবাচক রয়েছে। এই পরিবেশ বজায় থাকলে ফল যা-ই আসুক, আমি মেনে নেব।”
এদিকে, সিনেট ভবনের ডাইনিং রুমে স্থাপিত বুথে সকাল ১০টা নাগাদ অন্তত ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “ভোটগ্রহণের গতি দেখে আমরা আশা করছি বিকেল ৪টার মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।”
নির্বাচনে ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ না থাকা নিয়ে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে প্রশ্ন তুলেছেন শামীম।
তিনি লিখেছেন, “ব্যালট বক্স খুলে এলইডি স্ক্রিন এবং সারাদেশকে দেখিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু করতে হবে। ৮১০টিই দেখাতে হবে। ট্রান্সপারেন্ট বক্স না রাখার কারণ কী?”
তার এ পোস্টের নিচে একই প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেছেন বামজোট সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদের কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী হেমা চাকমা। তিনি লেখেন, “অবশ্যই ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ) রাখা উচিত ছিল।”