ক্যাম্পাস

জাকসু ভোটে বিশৃঙ্খলা: আটকের পর মুক্ত ছাত্রদল নেতা 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে আচারণবিধি লঙ্ঘন ও ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে সাইফ বিন মাহবুব নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করা হয়। আটকের আধাঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

সাইফ বিন মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ১০ নম্বর ছাত্র হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি। 

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোটগ্রহণ চলাকালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

ভোটরারা জানান, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের লাইনে গিয়ে কিছু প্রার্থী নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাইতে যান। এ সময় সাংবাদিকরা তাদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তখন  বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. সিয়াম মাহমুদ সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে সেখানে এসে সাইফ বিন মাহবুব সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। তিনি অন্য হলের শিক্ষার্থী হওয়া সত্বেও ভোটকেন্দ্রের সামনেই দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে ১০ ছাত্র হল ভোট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা এসে সাইফ বিন মাহবুব এর পরিচয়পত্র চেক করেন এবং নিশ্চিত হন তিনি এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নন।

নির্বাচনি আচরণ বিধি মোতাবেক, ভোটগ্রহণের সময় এক হলের ভোটার অন্য হলে অবস্থান করতে পারবেন না। কেউ অবস্থান করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা হয়েছে।

নির্বাচনি আচারণবিধি লঙ্ঘন ও ভোটকেন্দ্রে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করায় কর্মরত আনসার সদস্যের ডেকে সাইফ বিন মাহবুবকে আটক করে হল প্রাধ্যক্ষের অফিসে পাঠান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে উক্ত ভোটকেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. আল মামুন বলেন “ভোটকেন্দ্রে ভোট চাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় সে সাংবাদিকদের সাথে উচ্চ স্বরে বাকবিতণ্ডা করছিল। উচ্চ শব্দ শুনে আমি সেখানে যাই এবং তার পরিচয়পত্র চেক করি। জানতে পারি সে এই হলের সাবেক শিক্ষার্থী, এলোটমেন্ট পরিবর্তন করার পর বর্তমানে কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ভোটকেন্দ্রের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানোয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তাকে আটক করে হল প্রভোস্টের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

তবে হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল রকিব বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে এবং অতিরিক্ত ঝামেলা এড়াতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার যেহেতু ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, তাই নির্বাচন শেষে তদন্তের ভিত্তিতে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”