আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ১৪ জনের প্রাণহানি

প্রবল বর্ষণে ইন্দোনেশিয়ার দুটি প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে পূর্ব নুসা তেঙ্গারা প্রদেশ ও পর্যটন দ্বীপ বালির বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। পাহাড়ি এলাকায় কাদা, পাথর ও গাছের স্রোত গ্রামগুলোর ওপর নেমে আসে। অন্তত ১১২টি এলাকায় প্লাবন ঘটে এবং বহু স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো তার কর্মকর্তাদেরকে ভয়াবহ বন্যার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলা ত্বরান্বিত করতে, নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে এবং বাস্তুচ্যুত মানুষদের মৌলিক চাহিদা পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, নিখোঁজদের সন্ধান ও ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০ থেকে ৬০০ জন কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিএনপিবির মুখপাত্র আব্দুল মুহারি এক বিবৃতি বলেন, “নিহতের সংখ্যা নয়জন থেকে বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ প্রাণহানির ঘটনা বালিতে ঘটেছে। প্রবল বর্ষণে নদীর তীর ভেঙে মানুষ ভেসে যাওয়ার ফলে।” 

জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, পানিতে ভেসে যাচ্ছে গাড়ি, ছাদে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সেনা ও উদ্ধারকর্মীরা নৌকায় করে নামিয়ে আনছেন।

প্রবল বন্যায় হাজারো ঘরবাড়ি ও ভবন প্লাবিত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হোটেল, রেস্তোরাঁ ও হাসপাতালগুলো জেনারেটরের ওপর নির্ভর করছে। বহু সড়ক, সেতু ও দোকানপাট ভেসে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বালিতে এমন ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়নি। জলবায়ু পরিবর্তন ও অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণকে দায়ী করছেন অনেকে।

প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মৌসুমি বর্ষণে ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধস প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।