কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙনে সীমান্তে স্থাপিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি বিওপি বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার সর্বশেষ সীমান্তঘেঁষা উদয়নগর বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে বিলীন চলে যায়।
কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘‘ভাঙনের আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। কয়েক দিন আগে সেখান থেকে বিজিবির সব সদস্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাশের চর চিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। চর চিলমারী বিওপি থেকেই উদয়নগর এলাকায় টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হচ্ছে।’’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলেন, তিন মাস আগের পর্যবেক্ষণে পদ্মা-গড়াই নদ–নদীর অন্তত ১৭টি স্থানে ভাঙনের ঝুঁকি আছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। এ বছর পানি বাড়ার সঙ্গে সেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। বর্তমানে পানি কমছে, আর এতে ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনকবলিত এলাকার মধ্যে দৌলতপুরের উদয়নগর বিওপি ছিল অন্যতম। সেখানে জিওব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্টা করা হলেও ভাঙনের তীব্রতায় তা কাজে আসেনি।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্তঘেঁষা উদয়নগর বিওপিতে ২২ থেকে ২৫ জন সদস্য থাকতেন। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বিওপির বেশির ভাগ অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। অবশিষ্ট অংশও কয়েক দিনের মধ্যে ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাউবোর কুষ্টিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ‘‘সকালে উদয়নগর বিওপি এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখা হয়েছে। পানি কমায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে। বিওপিটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। দৌলতপুর ও ভেড়ামারার আরো কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।’’