বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে আদালত ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তারা খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত আদালত গেটে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন। বিক্ষোভ চললেও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সম্মিলিত কমিটির নেতা এম এ সালাম বলেন, “বাগেরহাট জেলার জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনায় চারটি আসন বহাল রাখা যৌক্তিক। নির্বাচন কমিশন একটি আসন কমিয়ে জেলার মানুষের প্রতি অবিচার করেছে। এ অবিচার রোধে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চার দিনের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব শেখ মো. ইউনুস। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি অফিস ও আদালত ঘেরাও করে অবস্থান, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তিনদিনের হরতাল ডাকা হয়। তবে, রাতে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসনের প্রস্তাব দেয়। এর পর থেকে বাগেরহাটের সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। চার আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটবাসী নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত চূড়ান্ত গেজেটে সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই বহাল রাখা হয়।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসন রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে বাগেরহাটে চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার আসনবিন্যাস ছিল- বাগেরহাট-১: চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট, বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর-কচুয়া, বাগেরহাট-৩: রামপাল-মোংলা, বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, “বাগেরহাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আজ সকালে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক ছিল, সেটি দুপুরে হবে।”