লাইফস্টাইল

নিজের প্রতি সদয় কেন হতে হবে?

অতিরিক্ত কাজের চাপে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর মানুষ ভাবতে শুরু করেন, ‘আমাকে দিয়ে কিছু হবে না’। এই পরিস্থিতিতে তিনি অনেক কিছু ভুলে যেতে শুরু করেন। যাকে বলে ‘ব্রেন হ্যাং’। এটি কোনো রোগ নয় বরং এটি কিছু রোগের উপসর্গ। ব্রেন হ্যাং এর কিছু লক্ষণের মধ্যে খুব সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ হলো- মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হওয়া, ভুলে যাওয়া, চিন্তাভাবনায় ধীরগতি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজ বা পেরিমেনোপজের কারণে ব্রেন হ্যাং হতে পারে। আবার মাথায় যদি কখনও একসঙ্গে অনেক  চিন্তা থাকে তাহলেও ব্রেন হ্যাং হতে পারে।’’ 

নিজের প্রতি কেন সদয় হতে হবে

একাধারে যখন কাজ করতে থাকবেন তখন আপনি ক্লান্ত হতে থাকবেন, সমাজের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবেন না। মস্তিষ্ক ক্লান্ত অনুভব করবে। ব্রেন হ্যাং হবে। এটি হলো এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে মস্তিষ্ক জানায় যে, সে এখন ক্লান্ত, চাপের মধ্যে আছে, বা অতিরিক্ত কাজে জর্জরিত। তাই কিছুটা ধীরে চলতে হবে। কাজ ভাগ করে নিতে হবে। প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে হবে।  এর ব্যতিক্রম ঘটলে মস্তিষ্কে বড় ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।  

রুটিন ওয়ার্ক করুন

নিজেকে মনে করিয়ে দিতে হবে, ব্রেন হ্যাং বা ফগ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। কাজের ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার জন্য রুটিন তৈরি করে নিতে হবে। আপনি যদি রুটিন ওয়ার্ক করেন, তাহলে মস্তিষ্ক চাপ অনুভব করবে না। 

বিরতি নিন

অফিস, মিটিং, সোশ্যালাইজিং এই সব কিছুর মধ্যে বিরতি নিতে হবে। নতুন কাজ শুরু করার আগে বিরতি না নিলে মস্তিষ্ক সামঞ্জস্য তৈরি করতে পারে না। এজন্য সচেতনভাবে প্রতিটি কাজের মাঝে ছোট ছোট বিরতি নিন। হালকা ব্যায়াম করা, একটু হাঁটাহাঁটি করা, বাইরে গিয়ে দাঁড়ানো বা চুপচাপ বসে থাকা-মস্তিষ্ককে পরের কাজের জন্য প্রস্তুত করে দেবে। 

ক্যালেন্ডার আর রিমাইন্ডার ব্যবহারে অভ্যস্ত হোন

কখন কোন কাজ করবেন-এই বিষয়ে সবকিছু মনে রাখার চেষ্টা না করে ক্যালেন্ডার আর রিমাইন্ডার ব্যবহারে অভ্যস্ত হোন। এতে মস্তিষ্ক কম চাপ অনুভব করবে। 

পর্যাপ্ত পানি পান করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো, স্ট্রেজ ম্যানেজমেন্ট করা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিজের প্রতি সদয় হওয়ার জন্য এই অভ্যাসগুলো জরুরি। চাপমুক্ত থাকুন আর মস্তিষ্ককে চাপমুক্ত রাখুন। নিজের প্রতি সদয় হওয়ার এটিই অন্যতম উপায়।