সারা বাংলা

দিনাজপুরে টানা ৪ দিনের বৃষ্টিতে ভোগান্তি

দিনাজপুরে টানা চারদিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছে সাধারণ ব্যবসায়ী, পথচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। 

গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ঝিরিঝিরি থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন শহরের সড়কে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে ছোটখাটো জলাবদ্ধতা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং বাজারের ব্যবসায়ীরা।

শহরের অনেক এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে রিকশা ও ভ্যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষকে ভিজে কষ্টে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। 

এদিকে, বৃষ্টিতে কৃষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন মাঠে আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। অনেকে বলছেন বৃষ্টি ফসলের জন্য আশির্বাদ। 

বিরামপুর উপজেলার কৃষক আবেদ আলী বলেন, “এবার আমন ধান চাষ করেছি। ফলন অনেকটা ভাল হয়েছে। মাঠে বৃষ্টির প্রয়োজন আছে। তবে যদি চাহিদার তুলনায় বেশি বৃষ্টি হলে আমাদের অনেক ক্ষতি হতে পারে।”

জেলার হিলি বাজারের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, “হাট-বাজারে ক্রেতা সমাগম অনেক কমে গেছে। টানা বৃষ্টিতে দোকানে পানি ঢুকে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বেচাবিক্রি তেমন নেই, এভাবে চললে আমরা চলব কী করে?”

স্কুল পড়ুয়া তাসমিন, তামিন ও আকাশসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, স্কুলে যেতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সময় মতো স্কুলে পৌঁছাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

ভ্যানচালক আহসান হাবীব বলেন, “কয়দিন থেকে বৃষ্টি লেগেই আছে। এভাবে বৃষ্টি হলে আমাদের পেটে ভাত জুটবে কী করে? রাস্তায় লোকজন পাচ্ছি না, যাত্রী না পেলে কামাই হবে কী করে?”

তবে দীর্ঘদিনের খরার পর এ বৃষ্টিকে অনেক কৃষক আশীর্বাদ হিসেবেও দেখছেন। তাদের আশা, পর্যাপ্ত পানি থাকায় মৌসুমি ফসল উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, চলতি মাসে দিনাজপুরে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০১ মিলিমিটার। যার মধ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৪১ মিলিমিটার এবং সর্বশেষ ছয় দিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৬০ মিলিমিটার।