জাতীয়

দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছানোর আশা আলী রীয়াজের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করার কোনো ইচ্ছা নেই। দ্রুতই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় একটি ঐকমত্যের জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হলেও এ সময় পূর্ণকালীন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। 

তিনি বলেন, “আমরা মনে করি না যে আগামী এক মাস ধরে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমরা দ্রুত একটা ঐকমত্যের জায়গায় উপনীত হতে পারবো।”

তিনি জানান, কমিশনের কাজ গুটিয়ে আনার জন্যও মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে কার্যক্রম চালানোর পর সেটি গুটিয়ে আনতে সময় লাগে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া লিখিত প্রস্তাব ও মতামতের সারাংশ কমিশন উপস্থাপন করেছে। এছাড়া, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ প্যানেল সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুটি বিকল্প দিয়েছে—গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।”

তিনি জানান, কমিশন সরকারকে এরইমধ্যে অনুরোধ করেছে, যেসব প্রস্তাব অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব, সেগুলো যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।

কমিশনের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতেই চূড়ান্তভাবে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে তিনি ২১ সেপ্টেম্বর থেকে নিউইয়র্কে যাবেন এবং ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা। 

আলী রীয়াজ বলেন, “২১ সেপ্টম্বরের আগে যদি আমরা একমত হতে পারি বা বিকল্পগুলো নিশ্চিত হতে পারি, তাহলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। অন্যথায় কিছুটা সময় নিতে হবে।”

তিনি আরো জানান, কমিশনের চূড়ান্ত সনদের ভাষ্য এরইমধ্যে দলগুলোর কাছে দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো তথ্যগত ত্রুটি থাকলে সংশোধনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আহ্বান জানান।