ঢাকাই সিনেমার অমর চিত্রনায়ক সালমান শাহ। নব্বই দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ধূমকেতুর মতো তার আবির্ভাব। মাত্র চার বছরে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান। বৃহস্পতি তুঙ্গে থাকা অবস্থায় অর্থাৎ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে পাড়ি জমান এই নায়ক।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তার বাবার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। সালমান শাহ ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৯২ সালে সামিরার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বেঁচে থাকলে আজ ৫৪ বছরে পূর্ণ করতেন।
ক্ষণজন্মা চিত্রনায়ক সালমান শাহকে স্মরণ করেছেন ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খান। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সালমান শাহের একটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ ছবির ক্যাপশনে শাকিব খান লেখেন, “আপনার অনুপস্থিতি এখনো অবিশ্বাস্য মনে হয়। কিন্তু আপনার উপস্থিতি এখনো জীবন্ত!”
বলা দরকার, শাকিব খান নিজেও অন্য অনেক নায়কের মতো সালমান শাহ-এর অনুসারী।
সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে মৌসুমী মাত্র চারটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এরপর প্রয়াত অভিনেতা ও পরিচালক জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ সিনেমায় সালমান শাহ ও শাবনূর প্রথম জুটি বাঁধেন। শাবনূরের সঙ্গে সালমান শাহ মোট ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে একাই রাজত্ব করে গেছেন সালমান শাহ। এই চার বছরে উপহার দিয়েছেন ব্যবসাসফল ২৭টি সিনেমা।
সালমান শাহ অভিনীত সিনেমাগুলো হলো— ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেম যুদ্ধ’ (১৯৯৪), ‘কন্যাদান’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’ (১৯৯৫), ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘প্রিয়জন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (১৯৯৬), ‘প্রেমপিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘বুকের ভেতর আগুন’ (১৯৯৭)।