রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, “বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দলীয় এজেন্ডার কারণ দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না।”
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাভারের শ্রীপুরে বিপ্লবী যুব সংহতির শিল্পাঞ্চল কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, “দেশের ভিতরে ও বাইরে অনেকেই গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে বিরোধ ও মারামারি দেখার জন্য বসে আছে। এই সুযোগ কাউকে দেওয়া যাবে না।”
তিনি দলসমূহের মধ্যকার রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে হিংসাত্মক বৈরীতায় পর্যবসিত না করতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এই সরকার শ্রমজীবী মেহনতি মানুষসহ তরুণ যুবশক্তিকে হতাশ করেছে মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, “গত তের মাসে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হয়নি, তাদের ন্যুনতম মানবিক জীবন নিশ্চিত হয়নি। উল্টো গত এক বছরে ৩৫ লক্ষ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্য সীমার নীচে নেমে এসেছে। কয়েক লাখ মানুষ চাকরিচ্যুত হয়েছে।মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে।”
তিনি বলেন, “দেশের কোটি কোটি যুবশক্তিকে কাজে লাগাতে না পারলে আমাদের প্রত্যাশিত উন্নয়ন-অগ্রগতি মুখ থুবড়ে পড়বে।”
এই বিষয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকারকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে তিনি আহ্বান জানান। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বলেন, “ছোটখাট ঘটনায় যেভাবে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য ছড়িয়ে পডছে তা একদিকে চরম অসহিষ্ণুতা আর অন্যদিকে হতাশার বহিঃপ্রকাশ।”
তিনি বিপ্লবী যুব সংহতিকে যুবকদের আস্থা আর ভরসার কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
লিটন মণ্ডলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মমতাজ উদ্দিন মেম্বার, যুবনেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শিল্পাঞ্চল কমিটির নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল হালিম ভূইয়া, মোহাম্মদ সুমন, মোহাইমেনুল হক, যুবনেতা আনিসুর রহমান প্রমুখ।
সম্মেলনে বিপ্লবী যুব সংহতির শিল্পাঞ্চল জেলার ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আহআয়ক কমিটি গঠন করা হয়।