যুক্তরাষ্ট্র সিরীয় নাগরিকদের জন্য দেওয়া অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা (টেম্পোরারি প্রোটেক্টেড স্ট্যাটাস-টিপিএস) বাতিল করেছে। এর ফলে দেশটিতে অবস্থানরত সিরিয়ান অভিবাসীদের আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দেশত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের মুখে পড়বেন তারা।
মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ফেডারেল রেজিস্টার নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকললিন এক বিবৃতিতে বলেন, সিরিয়ায় এমন পরিস্থিতি নেই যে তাদের নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারবে না।
তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে সিরিয়া সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার আঁতুর ঘরে পরিণত হয়েছে। তাই, সিরীয়দের যুক্তরাষ্ট্রে আরো অবস্থান করতে দেওয়া জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও যারা দেশ ছাড়বেন না, তাদেরকে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কার করা হবে।
তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট ও অভিবাসী অধিকারকর্মীরা। তাদের মতে, সিরিয়ার পরিস্থিতি এখনও বিপজ্জনক এবং জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন মানবিক সংকটকে তীব্র করবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে এসব অভিবাসীর শ্রমের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেছেন।
ফেডারেল রেজিস্টারের হিসাবে, ২০১২ সাল থেকে টিপিএসের আওতায় রয়েছেন ৬ হাজারের বেশি সিরিয়ান অভিবাসী।
ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন সংক্রান্ত কঠোর নীতির অংশ হিসেবে একের পর এক দেশের নাগরিকদের টিপিএস সুবিধা বাতিল করছে। এর আগে ভেনেজুয়েলা, হন্ডুরাস, হাইতি, নিকারাগুয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্যও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।