রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট কলেজের অধ্যক্ষ মো. সুজাউদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, কলেজের অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী কাঁকনহাট সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে পৌরসভা সদরের গোডাউন মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে একটি মিছিল নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন অংশগ্রহণকারীরা। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কাঁকনহাট পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক। কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. আলাউদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, কাঁকনহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সালাম উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর সেলিম উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মামুন অর রশিদ, সোবহান আলী, আসাদুল্লাহ কাশেমি এবং সাবেক শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন সুজাউদ্দিন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাব এবং সাবেক এমপি ফারুকের দাপটে অধ্যক্ষ ৩৫ জন শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কলেজ তহবিলের টাকা তছরুপ করেছেন। অডিটেও তার দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।’’
বক্তারা বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে আমরা এ অবস্থার উত্তরণ চাই। অবিলম্বে অধ্যক্ষ সুজাউদ্দিনের সমস্ত অনিয়ম এবং দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত করতে হবে। অন্যথায় আমরা আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।’’
মানববন্ধনে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে অধ্যক্ষ মো. সুজাউদ্দিন বলেন, ‘‘অভিযোগ আসতেই পারে। তবে এটি প্রমাণ করতে হবে। অভিযোগ কেন করা হচ্ছে, আমি বুঝতে পারছি না। আমি পাঁচ দিনের ছুটিতে আছি। এ সময় এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা বিব্রতকর।’’