কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রশাসন। তবে শোকজ বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে দাবি ওই অধ্যাপকের।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তার চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানা গেছে।
তবে অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলামের দাবি, স্ট্যান্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত বা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের আলোকে তাকে যোগদানের জন্য কোনো পত্র বা শোকজ করা হয়নি।
তিনি বলেন, “আমি নিজেও জানি না কোন কারণে অনুমতিবিহীন ছুটি বলছে। আমি ৫ বছরের লিভ বন্ড দিয়ে গবেষণার জন্য আমেরিকায় আসলাম। ১ বছর ছুটি ভোগের পর দ্বিতীয় বছরের ৩ মাস অতিক্রান্ত হলে বেআইনিভাবে প্রশাসন আমাকে গত বছর ৩ নভেম্বর ছুটি বাতিল করে যোগদান করতে বলে। আমি পুনরায় দরখাস্ত করলে সে বিষয়ে চলতি বছর ১৮ মার্চ চিঠি পাই যে, আমার ছুটির আবেদন মঞ্জুর হয়নি এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।”
আরো পড়ুন: ইবির আইন বিভাগের শিক্ষককে চাকরিচ্যুত
তিনি আরো বলেন, “কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বা তদন্ত কমিটি আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি আশা করেছিলাম কর্তৃপক্ষ আমাকে চিঠি দিবে এবং যুক্তিসঙ্গত সময় দেবে। পরবর্তীতে গত ২৮ আগস্ট পুনঃবিবেচনার আবেদন দেই এবং ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটা বিবেচনা করেনি। আমি এখন পর্যন্ত ইউএসেতে শিক্ষা ও গবেষণায় কর্মরত আছি।”
ড. জহুরুল বলেন, “প্রশাসনের পত্রটিও অসঙ্গতিপূর্ণ। তারা বলছে, ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৯৭তম স্ট্যান্ডিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর পত্রে তাকে যোগদান করতে বলা হয়। এটা কি ঘোড়ার আগে গাড়ি নয়। ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখের সিদ্ধান্ত তো আর নভেম্বর মাসের ১১ তারিখে জানানো যায় না! তাই না?”