সারা বাংলা

গাইবান্ধায় কারাগারে আ.লীগ নেতার মৃত্যু, স্বজনদের ক্ষোভ 

গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় কারাগারে আবু বক্কর সিদ্দিক (৭০) নামে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে গাইবান্ধা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মারা যাওয়া কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিকের বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। তিনি কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন।

নিহতের ভাতিজা সিফাত অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি অসুস্থ হলেও তার মৃত্যুর খবর আমরা জানতে পারি, আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে। এই দীর্ঘ সময়েও কারা কর্তৃপক্ষ থেকে তার অসুস্থতা এবং মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। রাতেই যদি তার অসুস্থতার বিষয়টি আমাদের জানানো হতো, তাহলে হয়ত আমরা উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতাম।’’ 

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি, তাকে হাতকড়া পরানো অবস্থাতেই ময়নাতদন্ত ঘরে ফেলে রাখা হয়েছে।’’  

সিফাত আরো বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন থেকে চাচা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। তিনি গত ১৫ বছর থেকে অসুস্থতার কারণে রাজনীতি ও ব্যবসা থেকে বিরত ছিলেন। তবুও তাকে গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও হামলা মামলার আসামি করে গত ১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।’’ 

জেল সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা কারাগারে আসেন। তিনি বার্ধক্যজনিত, হৃদরোগসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। কারাগারে অবস্থানকালে নিয়মিত চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করতেন। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে কারাগারের ভেতরে অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমাদের কাছে দেওয়া মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে রাতে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সকালে তার এলাকার এক ব্যক্তির নম্বর সংগ্রহ করে মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়।’’