সারা বাংলা

চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন মাস্ক খুলেছেন ক্লিনার, অভিযোগ মৃতের স্বজনদের

অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেখ সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত সাইফুল ইসলাম নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন যোগিপোল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শেখ ইসমাইলের ছেলে।

রোগীর স্বজনেরা জানান, কিডনি জটিলতায় গত শনিবার সাইফুলকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, পরদিন সকালে ওয়ার্ডের আউটসোর্সিং কর্মচারী (ক্লিনার) আব্দুল জব্বার অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে সিলিন্ডারসহ আরেক রোগীকে দেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে সাইফুল ইসলাম মারা যান।

সাইফুলের মা রশিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রাতভর দৌড়াদৌড়ি করে ছেলেকে অক্সিজেন দিয়েছিলাম। কিন্তু, সকালে ক্লিনার অক্সিজেন খুলে নেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার ছেলে মারা যায়।’’

মৃতের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই ক্লিনার অক্সিজেন খুলেছেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে ছটফট করতে করতে আমার ভাই মারা গেছে।’’

ওয়ার্ডে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এক ব্যক্তি এসে সাইফুলের নাক থেকে নল খুলে সিলিন্ডার নিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আউটসোর্সিং কর্মচারী আব্দুল জব্বার বলেন, ‘‘একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেওয়ার জন্য অক্সিজেন খুলে নেওয়া হয়েছিল।’’

খুমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘‘হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে। মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া বা খুলে নেওয়া ওয়ার্ড ক্লিনারের কাজ নয়। একজন রোগী কখন অক্সিজেন পাবেন, কখন পাবেন না; এ সিদ্ধান্ত জানাবেন ওয়ার্ডের ডাক্তার। যেই রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া আছে, সেই রোগীর অক্সিজেন খুলতে হলে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে খুলতে হবে। ওয়ার্ড ক্লিনার যদি খুলে নিয়ে থাকেন, তবে তিনি অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’