গাজীপুরের টঙ্গীর নতুন বাজার রেলগেট সাহারা মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছে পাঁচ জন দমকলকর্মী। তবে সেখানে কেমিক্যাল ছিল এমন তথ্য ফায়ার সার্ভিসকে জানায়নি কেউ। ঘটনার পর থেকে মালিক ও দোকানদার পলাতক রয়েছেন। এছাড়া গুদামটির কোনো লাইসেন্স ও সাইনবোর্ড ছিলো না।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে গাজীপুরে টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় ব্যবহৃত কেমিক্যালের গুদামে আগুন লাগলে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়র সার্ভিসের দগ্ধ পাঁচ সদস্য হলেন- মো. শামীম, মো. নুরুল হুদা, মো. জয় হাসান, জান্নাতুল নাঈম ও রুবেল। দগ্ধদের ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গুদামটিতে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। সেসময় ভেতরে থাকা লোকজন দৌড়ে বের হয়ে আসেন। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।
একপর্যায়ে কেমিক্যালের ড্রাম বিস্ফোরণ হয়ে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তাসহ পাঁচ জন কর্মী দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। গোডাউনে ব্লিচিং পাউডার, হাইড্রোজসহ বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল ছিল। সেগুলো বিভিন্ন কারখানায় সাপ্লাই দেওয়া হতো।
ঢাকা বিভাগের ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ছালেহ উদ্দিন বলেন, “গুদামটিতে সোডিয়াম বাই কার্বোনেট, স্ট্রোন, সোডা, ব্লিচিং পাউডার, মেটা হাইড্রোসহ- গুরুত্বপূর্ণ কিছু কেমিক্যাল ছিল। এসব কেমিক্যাল যেভাবে রাখা প্রয়োজন অর্থাৎ হাউজ কিপিং করা ছিল না। আমরা মালিকপক্ষ বা ভাড়াটিয়া যারা রয়েছে তাদের খুঁজছি। তাদের পেলে আমরা ভেতরের সব কেমিক্যাল সম্পর্কে তথ্য পেতাম। এতে আমাদের উদ্ধার অভিযান অনেকটাই সহজ হতো।”
তিনি আরো বলেন, “যদিও আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে তবুও একটা ভয় কাজ করছে, ভবনের অনেক ভেতরে গুদাম। এতো ভেতরে আমাদের পক্ষে যাওয়াটা অনেকটাই রিস্কের। তবুও আমাদের উদ্ধারকারী দল কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমাদের পাঁচজন সদস্য গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। আপাদত আগুন লাগার সঠিক কারণ আমরা নির্ণয় করতে পারিনি। তদন্ত শেষে সব জানা যাবে।”