প্যারিসের ঐতিহ্যবাহী থিয়েটার দ্যু শাতলে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বসেছিল ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ব্যালন ডি’অরের ৬৯তম আসর। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা, ফ্রান্স ফুটবল ও লেকিপ পত্রিকার যৌথ আয়োজনে এবারও তারকাখচিত এ অনুষ্ঠান রূপ নেয় এক উৎসবে।
দেম্বেলে ও বনমাতির সাফল্য: পুরুষ বিভাগে ব্যালন ডি’অরের শীর্ষ স্বীকৃতি উঠেছে পিএসজির ফরাসি তারকা উসমান দেম্বেলের হাতে। অন্যদিকে নারী ফুটবলে সেরা হয়েছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ড জাদুকরী আইতানা বনমাতি, যিনি ক্লাব বার্সেলোনা ও স্পেনের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। শুধু ব্যালন ডি’অরই নয়, আরও ১১টি ক্যাটাগরিতে সেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্বীকৃতি।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন যারা:
ইয়াসিন ট্রফি (সেরা গোলরক্ষক): ইতালির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (ম্যানচেস্টার সিটি) ও ইংল্যান্ডের হান্না হাম্পটন (চেলসি)।
ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি (সেরা কোচ): পুরুষ বিভাগে পিএসজির লুইস এনরিকে, নারী বিভাগে ইংল্যান্ডের সারিনা উইগমান।
কোপা ট্রফি (তরুণ প্রতিভা): বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল ও ভিকি লোপেজ।
বর্ষসেরা ক্লাব: পুরুষ বিভাগে পিএসজি, নারী বিভাগে আর্সেনাল।
গার্ড মুলার ট্রফি (সেরা স্ট্রাইকার): আর্সেনালের সুইডিশ ফরোয়ার্ড ভিক্টর ইয়োরকেরেস ও বার্সেলোনার পোলিশ তারকা এয়া পাজোর।
মানবিক কাজের স্বীকৃতি: ফুটবলের বাইরে সমাজসেবায় অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে জানা ফাউন্ডেশন। পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের প্রয়াত কন্যার নামে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে কাজ করে আসছে।
তারকাখচিত এই আয়োজনে শুধু ট্রফি জেতাই নয়, বরং ফুটবলের প্রতিটি দিককে সম্মান জানানো হয়েছে- মাঠের সেরা পারফরমার থেকে শুরু করে মানবিকতার নেপথ্য নায়ক পর্যন্ত। দেম্বেলে ও বনমাতির হাতে সোনালি বল ওঠার মুহূর্তে প্যারিস যেন আবারও ফুটবলের রাজধানীতে রূপ নেয়।