ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ সর্বদা কর্মীদের নিরাপত্তা প্রদানে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে দুই দিনব্যাপী অগ্নিনিরাপত্তা প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ ও শ্রম বিধি-২০১৫ এর নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত আয়োজন হিসেবে ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ এন্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেইফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে গাজীপুরের চন্দ্রাসহ ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে গত ২৩ তারিখ থেকে দুই দিনব্যাপী ‘অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা’শীর্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণটি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, “অগ্নি নিরাপত্তা আমাদের সবার দায়িত্ব। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান কর্মক্ষেত্র ও দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগিয়ে আমরা একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারি। নিরাপত্তা হোক আমাদের অভ্যাস ও সংস্কৃতি।”
ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের প্রধান মোঃ. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বক্তব্য দিয়ে শুরু করা হয়। তিনি বলেন, “ফায়ার সার্ভিস একটি মহৎ পেশা। আপনারা শুধু আগুন নেভাতেই সাহায্য করেন না, বরং মানুষের জীবন, সম্পদ এবং পরিবেশ রক্ষা করেন। আজকের এই প্রশিক্ষণটি কেবল একটি নিয়ম মেনে চলা নয়, বরং নিজেদেরকে আরও দক্ষ, আরো শক্তিশালী এবং আরো প্রস্তুত করে তোলার একটি সুযোগ।”
প্রশিক্ষণে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের টাঙ্গাইল ফায়ার স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. আতাউর রহমান। এছাড়া সারাবো, কাশিমপুর, গাজীপুর ফায়ার স্টেশনের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরাও বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও ব্যবহারিক অনুশীলন পরিচালনা করেন।
প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য কর্মশালায় মূলত কর্মক্ষেত্রে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সক্ষমতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আলোচনায় উঠে আসে— আগুনের ঝুঁকি সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ ও কর্মী সুরক্ষা প্রযোজ্য আইন ও প্রবিধান মেনে চলা নিরাপত্তা সংস্কৃতি গড়ে তোলা মনোবল ও দলগত প্রতিক্রিয়া দক্ষতা বৃদ্ধি
অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদানের কৌশল শেখানো হয়। এ সময় অগ্নি নির্বাপন, জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম এবং প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে বাস্তব অনুশীলন করানো হয়।
আশ্বিন মাসে অগ্নি নিরাপত্তার বিশেষ গুরুত্ব
বিশেষজ্ঞরা জানান, আশ্বিন মাসে বৃষ্টি, বজ্রপাত ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক গোলযোগ ও অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ইলেকট্রনিক্স শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য এ সময় বাড়তি সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের ভাষায়—“একটি ছোট্ট অসতর্কতা শরতের সৌন্দর্যকে মুহূর্তে ধ্বংস করতে পারে—সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন।”
ওয়ালটনের প্রতিশ্রুতি ওয়ালটন সর্বদা বিশ্বাস করে যে সচেতনতা ও প্রস্তুতিই নিরাপত্তার মূল চাবিকাঠি। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে কর্মীদের অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, মহড়া ও আপডেট প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সনদপত্র প্রদান করা হয়। পুরো আয়োজনের সার্বিক সমন্বয় করেন ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম।