সাভারের আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় নাসা গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “নাসা গ্রুপ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন কর্তৃপক্ষ কিছু মালামাল বিক্রি করে পরিশোধ করবে। বিক্রি করতে যে সময় প্রয়োজন ছিল, কর্তৃপক্ষ তা চেয়েছিল। কিন্তু শ্রমিকরা সময় না দিয়ে মিটিংয়ের পরদিনই রাস্তায় নেমে ভাঙচুর করে। তবে সবাই শ্রমিক নয়, হাতেগোনা কয়েকজন এই কাজে জড়িত। যারা আসলে শ্রমিক নয়, বরং ভেতরে থাকা নাশকতাকারী ও দুষ্কৃতকারী। এ ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এসপি বলেন, “মূল যে টিপু সুলতান, তিনি আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিল। শ্রমিকদের স্বার্থে নয়, বরং উত্তেজনা ও নাশকতা সৃষ্টির জন্যই মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল। তাকে আমরা গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালতের মাধ্যমে তার বিচার হবে। বাকি ছয়জনও নাশকতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে।”
এর আগে, বুধবার বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে নাসা গ্রুপের শ্রমিকেরা নরসিংহপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ জলকামান ছিটিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
সম্প্রতি নাসা গ্রুপের ১৬টি কারখানা শ্রমিকদের বেতন–ভাতা পরিশোধ না করেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর শ্রমিক প্রতিনিধি, কর্তৃপক্ষ, সরকার ও বিজিএমইএর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ১৫ অক্টোবর আগস্ট মাসের এবং ৩০ অক্টোবর সেপ্টেম্বর মাসের বেতন–ভাতা পরিশোধ করবে কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুসারে পূর্ণ বছরের জন্য ৩০ দিনের মূল মজুরি ও মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা পরিশোধ করা হবে।