::সংক্ষিপ্ত স্কোর:: পাকিস্তান: ১৩৫/৮ (১০ ওভারে) বাংলাদেশ: ১২৪/৯ (২০ ওভারে) ফল: পাকিস্তান ১১ রানে জয়ী এবং ফাইনালে।
বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান: টার্গেটটা খুব একটা বড় ছিল না, ১৩৬। কিন্তু বাজে ব্যাটিংয়ে সেটাও হয়ে গেল হিমালয়সম। সেটা আর ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করতে পারে বাংলাদেশ। আর ১১ রানের জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান। রোববার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শামীম হোসেন ২৫ বলে ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন। সাইফ হাসান ১ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১৮ রান। এছাড়া রিশাদ হোসেন অপরাজিত ১৬, নুরুল হাসান ১৬, মাহেদী হাসান ১১ ও তানজিম হাসান করেন ১০ রান।
বল হাতে পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদি ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। হারিস রউফ ৪ ওভারে ৩৩ রানে নেন ৩টি উইকেট। সাইম আইয়ুব ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন মূল্যবান ২টি উইকেট।
১০১ রানে নবম উইকেটের পতন: ৯৭ রানে অষ্টম উইকেট হারানোর পর মাঠে নামেন তাসকিন আহমেদ। তিনি হারিসকে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন। কিন্তু পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান। ২ বল খেলে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৪ রান করে যান তাসকিন। রিশাদ হোসেনের সাথে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
৯৭ রানেই অষ্টম উইকেটের পতন: একই রানে আরও এক উইকেট হারাল বাংলাদেশ। হারিস রউফের করা স্লোয়ার বলে বোল্ড হয়ে যান তানজিম হাসান সাকিব। ১১ বলে ১ চারে ১০ রান করেন তিনি।
৯৭ রানের মাথায় সপ্তম উইকেটের পতন: শাহীন আফ্রিদির করা শেষ ওভারে আরও একটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় শাহীনের স্লোয়ার ডেলিভারি রিভার্স শট খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তালাতের হাতে ধরা পড়েন। ২৫ বল খেলে ২ ছক্কায় ৩০ রান করে যান তিনি।
৭৩ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেটের পতন: ৭৩ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ধুকতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। রানের সঙ্গে বলের ব্যবধান বেড়েই চলছে। এ সময় সাইমের বলে নুরুলের মতো লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সেই নওয়াজের হাতেই ধরা পড়েন জাকের। ৯ বল খেলে ৫ রান করেন অধিনায়ক। শামীমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। জিততে ৩৬ বলে এখনো ৬৩ রান প্রয়োজন।
৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ: দ্বাদশ ওভারের চতুর্থ বলে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাইমের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে নওয়াজের হাতে ধরা পড়েন নুরুল। ২১ বলে ১ ছক্কায় ১৬ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের রান তখন ৬৩। শামীমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক জাকের আলী।
১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৮ রান তুলল বাংলাদেশ: পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৩৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান তুলেছে। জিততে ৬০ বলে আরও ৭৮ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। শামীম হোসেন ১০ ও নুরুল হাসান ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
৪৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন বাংলাদেশের: অষ্টম ওভারের শেষ বলে নওয়াজের করা বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে সুইপার কাভারে হুসেইন তালাতের হাতে ধরা পড়েন মাহেদী হাসান। ১০ বলে ১ ছক্কায় ১১ রান করে যান তিনি। নুরুল হাসানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
২৩ রানেই ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের: হারিস রউফের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে লিডিং এজ হয়ে ফিরে যান সাইফ হাসান। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তার ক্যাচ তালুবন্দি করেন সাইম। সাইফ আজ ১৫ বলে ১টি চার ও ২ ছক্কায় ১৮ রান করে যান। ক্রিকেট মাহেদী হাসানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
শাহীনের দ্বিতীয় শিকার হৃদয়: দলীয় ২৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আবারও সেই শাহীন আফ্রিদি। তার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাইম আইয়ুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন হৃদয়। তিনি ১০ বলে ৫ রান করে যান।
১ রানেই প্রথম উইকেটের পতন বাংলাদেশের: ১৩৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শাহীন আফ্রিদির করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে নওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন পারভেজ হোসেন ইমন। দুই বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি।
১৩৫ রানে থামল পাকিস্তান, পারবে কি বাংলাদেশ? এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তান। জিতে ফাইনালে যেতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৩৬ রান।
১২০ রানের মাথায় অষ্টম উইকেট হারাল পাকিস্তান ১২০ রানের মাথায় আরও একটি উইকেট হারাল পাকিস্তান। এবার মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরেন তাসকিনের বলে এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ১৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংস খেলে যান।
পাকিস্তানের সপ্তম উইকেটের পতন সপ্তম উইকেটে ২৪ বলে ৩৮ রানের ভালো একটি জুটি গড়ে ফিরলেন হারিস। শেখ মাহেদীর করা ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন। যাওয়ার আগে ২৩ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংস খেলে যান।
১০০ পেরুল পাকিস্তান ৭১ রানের মাথায় শাহীন আফ্রিদির উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজ। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে শতরান পেরিয়েছে পাকিস্তান। ১৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১০২। হারিস ৩১ ও নওয়াজ ১১ রানে ব্যাট করছেন।
ষষ্ঠ উইকেট হারাল পাকিস্তান: ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মাঠে নামেন শাহীন আফ্রিদি। তিনি মাত্র ১৩ বল খেলে ২ ছক্কায় ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তাসকিনের শিকারে পরিণত হন। দলীয় ৭১ রানের মাথায় তাসকিনের দেওয়া ফুল টস বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন। সেটি ঠাণ্ডা মাথায় লুফে নেন জাকের আলী।
পঞ্চম উইকেটের পতন: একাদশতম ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। এবার মোস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সালমান আলী আগা। তার কাটারে পরাস্ত হন সালমান। বল তার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে জাকেরের গ্লাভসে জমা হয়। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নেন জাকের। রিভিউতে দেখা যায় বল ব্যাট ছুঁয়ে যায় জাকেরের গ্লাভসে। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আউট দেন।
১০ ওভার শেষে পাকিস্তান ৪৭/৪ পাওয়ার প্লে’র পর ১০ ওভার পর্যন্ত যেতে আরও দুটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৭। রিশাদের করা সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে লং অফে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ধরা পড়েন ফখর জামান। ২১ বলে ২ চারে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর নবম ওভারের প্রথম বলে হুসেইন তালাতকে ফেরান রিশাদ। এবার ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তালাত। ৭ বলে ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
পাওয়ার প্লে-তে ২ উইকেটে ২৭ রান তুলল পাকিস্তান:
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করছে পাকিস্তান। ইনিংসের শুরুতেই তারা বাংলাদেশের বোলিং তোপের মুখে পড়ে। তাতে পাওয়ার প্লে-তে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৭ রান তোলে।
দ্বিতীয় ওভারে আরও এক উইকেটের পতন: পরের ওভারের চতুর্থ বলে আরও একটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। এবার ফিরে যান সাইম আইয়্যুব। মাহেদী হাসানের বলে মিড অন দিয়ে মারতে গিয়ে সেই রিশাদের হাতেই ধরা পড়েন তিনি। ৩ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে এশিয়া কাপে টানা চতুর্থবার ডাক মারলেন সাইম।
প্রথম ওভারেই তাসকিনের আঘাত: প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন সাহেবজাদা ফারহান। ৪ বল খেলে ৪ রান করেন তিনি। এটা ছিল টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের ১০০তম উইকেট।