এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান লড়াই মাঠে যত না উত্তেজনা তৈরি করেছে, মাঠের বাইরের অঙ্গভঙ্গি আর প্রতিক্রিয়াই যেন তার চেয়ে বেশি আলোচনায়। আর সেই আলোচনার মধ্যেই আবারও সামনে এসেছে পুরোনো অভিযোগ- আইসিসি কি তবে ভারতের নির্দেশেই চলে?
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার সাহেবজাদা ফারহান ও হারিস রউফকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে এবার নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) অভিযোগ তুলতেই দ্রুত দুই পাক খেলোয়াড়কে তলব করে আইসিসি। শোনা যাচ্ছে, দুজনেরই ম্যাচ ফি’র ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ কেটে নেওয়ার মতো শাস্তি আসতে পারে। তবে নিষেধাজ্ঞার কোনো ঝুঁকি নেই।
ফারহান যখন নিজের স্টাইলিশ ‘বাজুকা’ সেলিব্রেশন করলেন, সেটিকে অনেকেই ভারতের প্রতি ব্যঙ্গাত্মক ইঙ্গিত হিসেবে দেখলেন। যদিও খেলোয়াড় নিজে বলেছেন, এতে কোনো রাজনৈতিক ইঙ্গিত নেই; বরং অতীতে কোহলি কিংবা ধোনির মতো ভারতীয় তারকারাও এমন উদযাপন করেছেন। কিন্তু বিসিসিআই আপত্তি তুলতেই, আইসিসি যেন সেই যুক্তি শুনতেই রাজি নয়।
অন্যদিকে, হারিস রউফ ভারতের দর্শকদের উদ্দেশে কথিত বিমানবাহিনীর পুরোনো দাবির প্রসঙ্গ টেনে কটাক্ষ করেন। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গেই সেটিও আইসিসির নজরে। এবার তাকেও ভোগ করতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা।
শুধু পাকিস্তানি খেলোয়াড়ই নন, ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও বাদ যাচ্ছেন না। ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনায় পাহালগাম হামলা নিয়ে মন্তব্য করায় তাকেও শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, তারও ১৫ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হতে পারে।
প্রশ্ন উঠছে- আইসিসি আসলে কি নিরপেক্ষ সংস্থা, নাকি বিসিসিআইয়ের আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠান? ভারতীয় বোর্ডের অভিযোগ উঠলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা, কিন্তু অন্য পক্ষের কথা শোনা বা খতিয়ে দেখার কোনো উদ্যোগ নেই! ক্রিকেট মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন তীব্র, মাঠের বাইরেও রাজনৈতিক ছায়া যেন সবকিছু ছাপিয়ে যাচ্ছে।
সব বিতর্কের মধ্যেই অপেক্ষা এবার ফাইনালের। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুদল মুখোমুখি হবে এশিয়া কাপের শিরোপা লড়াইয়ে।