আন্তর্জাতিক

ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে

ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের জাতিসংঘ দূত বারবারা উড। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা বিলম্বিত করার রাশিয়া ও চীনের প্রস্তাব ব্যর্থ হওয়ার পর এ কথা জানানো হয়। 

শনিবার (২৭  সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমা শক্তিগুলোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের এই সিদ্ধান্ত তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইরান সতর্ক করে বলেছে, এই পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেওয়া হবে এবং পরিস্থিতি আরো তীব্র হতে পারে।

১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল বিলম্বিত করার জন্য রাশিয়া ও চীনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, কারণ মাত্র চারটি দেশ তাদের খসড়া প্রস্তাব সমর্থন করেছিল।

ভোটের পর জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের দূত বারবারা উড বলেন, এই পরিষদের কাছে প্রয়োজনীয় আশ্বাস নেই যে দ্রুত কূটনৈতিক সমাধানের একটি স্পষ্ট পথ বিদ্যমান।” ফলে শনিবার থেকেই ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সাংবাদিক ও বিশ্লেষকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনরুজ্জীবিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।”

তিনি বলেন, “ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করবে না… আমাদের অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম নিয়ে স্বচ্ছ থাকার জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”

শনিবার রাত ৮টা বা রবিবার রাত ১২টা থেকে ইরানের ওপর সব জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হবে।

গত জুন মাসে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানের পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলার পর ইরান যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পর ইউরোপীয় শক্তিগুলো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু করে।

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কূটনীতিকরা বলেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা ছয় মাস পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল। কারণ শেষ মুহূর্তের আলোচনায় ইরান ও যুক্তরাজ্যে, ফ্রান্স এবং জার্মানির মধ্যে অচলাবস্থা কাটানো যায়নি।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি অন্তত ছয় মাসের জন্য বিলম্বিত করার আহ্বান জানিয়েছিল রাশিয়া ও চীন। ভোটে নয়টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়, দুটি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।