ভিক্ষাবৃত্তি ও চাঁদাবাজি বাদ দিয়ে উদ্যেক্তা হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের শিলা। মাত্র সাত হাজার টাকা দিয়ে একটা ছাগল কিনে ভাড়া করা জায়গায় শুরু করেন খামার। এখন তার খামারে ৫৫টি ছাগলসহ হাঁস-মুরগি রয়েছে। পশুপালন করে নিজের বাকি জীবন অতিবাহিত করতে চান তিনি।
শিলা জানান, ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি করেছেন। সরকারি খাস জমি বরাদ্দ ও সহায়তা পেলে তিনি আরো বড় খামার করার চেষ্টা করবেন।
শিলা গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের কফিলউদ্দিনের মেয়ে। গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে দুইটি কক্ষ পাঁচ হাজার ও সামনে দেড় শতাংশ জায়গা এক হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। মাত্র তিন বছর আগে সাত হাজার টাকায় একটি ছাগল নিয়ে শুরু হয় তার এই খামার। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ৫৫টি ছোটবড় ছাগলসহ হাঁস, দেশি-বিদেশি মুরগি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খামারের পশু পালনে সময় দেন এই উদ্যেক্তা।
শিলা বলেন, “আগে আমিও মানুষের কাছে গিয়ে টাকা তুলতাম। এক সময় এই কাজের ওপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ছোট থেকেই কৃষিকাজ ও পশুপাখি পালনে আগ্রহ ছিল। এ কারণে সাত হাজার টাকায় একটা ছাগল কিনে খামার শুরু করি। পরে আরো ছাগল সংগ্রহ করি। পালন করতে শুরু করি হাঁস ও মুরগি। ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি করেছি। ক্রেতারা আমার খামারে এসে ছাগল-মুরগি কিনে নিয়ে যান। যা আয় হয় তা দিয়ে ভালো ভাবেই আমার জীবন চলছে।”
তিনি বলেন, “আমার নিজের কোনো জায়গা নেই। সরকারি খাস জমি বরাদ্দ ও সরকারি সহায়তা পেলে আরো বড় আকারে খামার করার ইচ্ছে আছে আমার। আমি সামনে কয়েকটা গরু কিনে পালন করতে চাই।”
গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নারগিস খানম বলেন, “তৃতীয় লিঙ্গের একজনের এমন উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তাকে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।”