‘বিসিবি নির্বাচনে নোংরামির বিরুদ্ধে ক্লাব, সংগঠক ও কাউন্সিলরদের প্রতিবাদ’-শিরোনামে আয়োজিত সভায়, আসন্ন বিসিবি নির্বাচন না পেছালে এবং তাদের তিন দফা দাবি মানা না হলে সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার ক্লাবগুলো।অন্তত ৪৮টি ক্লাব এ সিদ্ধান্তে একমত বলেই দাবি সংবাদ সম্মেলন আয়োজকদের।
শনিবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গণে এই দাবি তোলা হয়। লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে ক্লাবগুলো জানায়, তিনটি দাবি-বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সময় বৃদ্ধি করে সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা ও বর্তমান তফসিল বাতিল করে নতুন তফসিল ঘোষণা করে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করা। ‘কেন এই দাবি’ শিরোনামে লিখিত বক্তব্যের একটি অংশে নিজেদের দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তারা-
১. জেলা-বিভাগ থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের তালিকায় সরকারি হস্তক্ষেপ। ২. ক্লাব ক্যাটেগরির মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের বেশির ভাগেরই নির্বাচন বর্জন করা। ৩. বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই কাউন্সিলরদের যোগ্যতার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসকদের কাছে বিসিবি সভাপতির চিঠি প্রধান করা। ৪. নির্ধারিত সময়ের পরও সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের কাউন্সিলরশিপ গ্রহণ করায় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা। ৫. ১৫ ক্লাবের ভোটাধিকার রদ করা, অথচ রিটকারী সভাপতির সময়েই ক্লাবগুলি সবশেষ লিগে অংশ নিয়েছিল। ৬. দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলরদের আটকে রাখার গুরুতর অভিযোগ।
বক্তব্যের শেষে উল্লেখ করা হয়, বিতর্কিত নির্বাচনের নীলনকশা বাতিল না করলে কোনো ক্লাব আসন্ন মৌসুমে ক্রিকেট খেলবে না। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। কাউন্সিলর তালিকা নিরপেক্ষভাবে করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
এর আগে নির্বাচনে সরকারপক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে গত বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছিলেন তামিম ইকবালসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী।
শুক্রবার মধ্যরাতে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল, শনিবার বিকেলে রাজশাহী বিভাগ থেকে পরিচালক পদের লড়াইয়ে থাকা প্রার্থী হাসিবুল আলম ও সন্ধ্যায় কাঁঠালবাগান গ্রীন ক্রিসেন্ট ক্লাবের কাউন্সিলর মেজর ইমরোজ আহমেদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে বিসিবিকে জানায়।
যদিও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল গত বুধবার দুপুরে। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় কাগজে-কলমে তার নাম ভোটের ব্যালটেই থাকবে।