সারা বাংলা

ঠাকুরগাঁওয়ে সবজির দাম চড়া, মরিচে স্বস্তি

ঠাকুরগাঁওয়ে পাইকারি বাজারে গত কয়েকদিনের তুলনায় সবজির কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে, কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কাঁচা মরিচের দামে। গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে মরিচের দাম কেজিতে কমেছে প্রায় ১২০ টাকা পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের কাঁচামালের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার গোবিন্দনগর আরত ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি দরে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি প্রতি ৮০ টাকা দরে, তিনদিন আগে এই সবজির দাম ছিল ৫০ টাকা। বেগুনের দাম হয়েছে ৭০টাকা, যা আগে কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা দরে। এছাড়া, ১৫ টাকা দাম বেড়ে টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

কেজিতে ১৮ টাকা বেড়ে গাজর ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।  ২৮ টাকা কেজি দরের মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। বিভিন্ন ধরনের শাকের আঁটি ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

স্বস্তির খবর এসেছে মরিচের বাজারে। কয়েকদিন আগেও যে কাঁচা মরিচ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল তা দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে।

ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং সরবরাহ বাড়লে শিগগিরই সবজির দাম কমতে পারে বলে তারা আশাবাদী।

সোহেল রানা নামে এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, “কয়েকদিনের বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে কৃষকেরা ঠিকভাবে সবজি তুলতে পারেননি। এ কারণেই বাজারে দাম বেড়েছে।”

 

রকি নামে অপর সবজি ব্যবসায়ী বলেন, “শীতের সবজি এখনো পুরোপুরি ওঠেনি। সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে।”

নূর ইসলাম নামে সবজি বিক্রিতা বলেন, “কয়েকদিন আগেও ফুলকপি ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা। এখন সবজির দাম একটু বেশি, আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যে দাম কমে আসবে বলে আশা করছি।”

চন্দন নামে খুচরা সবজি বিক্রিতা জানান, “নতুন মৌসুমের সবজি বাজারে আসছে ধীরে ধীরে। সরবরাহ বাড়লে দামও স্বাভাবিক হবে।”

আসাদুল ইসলাম বলেন, “এখনো চাহিদা বেশি, কিন্তু পণ্য কম। এই কারণে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।”

আরতদার সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “পূজার পর থেকেই কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এখন মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। সরবরাহ আরো বাড়লে দাম কমবে বলে আমরা আশা করছি।”