টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিশুদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় কার্টুন। দেখা যায় যে, শিশু কাঁদছে—টিভি চালিয়ে দিলেই সে থেমে যায়। অনেক সময় শিশুরা খেতে চায় না, কিন্তু টিভি দেখতে দেখতে খেয়ে ফেলে। বাবা-মায়ের ব্যবহৃত মোবাইল হাতের কাছে পেলেই শিশুরা কার্টুন দেখতে শুরু করে, তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই অভ্যাস একটি শিশুকে নিরবে অনেক বড় ক্ষতির মুখে ফেলে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘স্ক্রিনের দিকে অনেক সময় তাকিয়ে থাকলে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’’ এছাড়াও নানা রকম সমস্যায় ভুগতে শুরু করে।
শিশুর বাস্তবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে ছোটরা যা দেখে, তাই শেখে। বেশি সময় ধরে কার্টুন দেখার ফলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম শিশুরা তাদের প্রিয় চরিত্রদের অনুকরণ করতে শুরু করে। যার ফলে তাদের ব্যবহারে নানা পরিবর্তন আসতে পারে। এমনকি তারা কল্পনার জগতেই বিচরণ করে। বাস্তবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।
বাইরের দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় না শিশু বিশেষজ্ঞরা বার বার শিশুদের স্ক্রিন টাইম কমানো নিয়ে কথা বলছেন। বিভিন্ন পরিসরে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বেশিক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিশুদের মনে নানা উদ্বেগ জন্ম নিতে পারে। এমনকি শিশুদের কথা গোপন করার প্রবণতাও তৈরি হয়। তাছাড়া অধিকাংশ সময় কার্টুন দেখতে অতিবাহিত হওয়ায়, বাইরের দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ গড়ে ওঠে না।
শিশুদের একাগ্রতা নষ্ট হয় গবেষকরা বলছেন ‘‘দ্রুতগতিসম্পন্ন কার্টুন একটানা ৯ মিনিটের বেশি দেখলে শিশুদের একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। নষ্ট হতে পারে মনোযোগ।’’ যার ফলে পরবর্তীতে কখনও তা তাদের সমস্যার সমাধানে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।