ট্রেনের সিটগুলো অনেক সময় মুখোমুখি সাজানো থাকে। এতে যাত্রীরা একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা-গল্পে মেতে উঠতে পারেন। আবার ক্লাসরুমের বেঞ্চগুলো একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে। এতে এক ক্লাসে অনেক শিক্ষার্থী বসতে পারে। ঠিক একই রকমভাবে প্লেনের সিটগুলোও একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে। প্লেনের সিটগুলো ট্রেনের সিটগুলোর মতো না সাজিয়ে ক্লাসরুমের বেঞ্চের মতো একদিকে মুখ করে সাজিয়ে রাখার নানা কারণ রয়েছে।
প্লেনে সিটগুলো একদিকে মুখ করে সাজিয়ে রাখা হয়, যাতে যাত্রীরা ধাক্কাধাক্কি করা ছাড়াই সহজে সারিবদ্ধভাবে বের হতে পারেন। কিন্তু সিটগুলো মুখোমুখি থাকলে নামার সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।সেজন্য দ্রুত ও শান্তভাবে বেরিয়ে আসার জন্য সিট একদিকে রাখাই সবচেয়ে ভালো।
প্লেন যখন রানওয়ে ধরে তীব্র গতিতে ছুটে গিয়ে আকাশে উড়তে শুরু করে, তখন যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই পেছনের দিকে হেলে পড়েন। আর তখন সিটের সঙ্গে পিঠ একদম লেগে থাকে। সিটগুলো শুধু সামনের দিকে মুখ করা থাকায় এই চাপটা যাত্রীদের পিঠে এবং শরীরে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য মুখোমুখি সিট থাকার চেয়ে এক মুখে সারিবদ্ধভাবে থাকা ভালো।
অবশ্য আরও একটি বড় কারণ রয়েছে, তাহলো জায়গা বাঁচানো যায়। সব সিট একদিকে মুখ করে রাখলে একটা প্লেনের ভেতরে বেশি সংখ্যক যাত্রী বসতে পারেন।
তবে বিজনেস ক্লাস বা ফার্স্ট ক্লাসে সিটগুলো আবার দুই দিকে মুখ করা যায়।
সূত্র: ইন্টারেস্টিং জুনিয়র ম্যাগাজিন