খেলাধুলা

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রশিদের মতো স্পিনার না থাকা স্বস্তিদায়ক: লিপু

তিন ম‌্যাচ সিরিজে রশিদ খান কখনো ৯ উইকেটের বেশি পাননি। সবশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১ উইকেট নিয়ে নিজের অতীতের রেকর্ড ভেঙেছেন। তা-ও সবচেয়ে কম বল করে। ১৪৭ বল হাত ঘুরিয়ে ২.৭৩ ইকোনমিতে এই সাফল‌্য পেয়েছেন। তার গুগলি কিংবা লেগ, আর্মার কিংবা স্লো বল মিরাজ, সাইফ, তাওহীদ, জাকির, সোহানদের কাছে ছিল দুর্বোধ‌্য।

তিন ওয়ানডের একটিতেও বাংলাদেশ পুরো ৫০ ওভার ব‌্যাটিং করতে পারেনি। বৈচিত্র‌্যময় এই স্পিনার বরাবরই বাংলাদেশের জন‌্য হুমকি ছিলেন। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে রশিদ মানের কোনো স্পিনার না থাকায় হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পারফরম‌্যান্স মূল‌্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের পারফরমেন্স (ওয়ানডে) আমাদের নিকট অতীতের সাফল্যকেও অ্যাবসলিউটলি ভেস্তে দিয়েছে। এমন একটা পারফরমেন্স আমরা যারা ক্রিকেট দেখি, ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত, ইভেন যারা খেলে, আমার মনে হয় কেউই আশা করেনি যে এরকম একটা রেজাল্ট হতে পারে। তবে এটা ঠিক, এটা একদম এক্সপোজড হয়েছে আমাদের দুর্বলতা, আমাদের ব্যাটিং এর দুর্বলতাগুলো স্পেশালি ফুটে উঠেছে। সেগুলোকে আমাদের ডেফিনেটলি যত দ্রুত সম্ভব তা ওভারকাম করতে হবে।’’

৫০ ওভারের ম‌্যাচে পুরোটা সময় ব‌্যাটিং করতে না পারার আক্ষেপ ঝরল তার কণ্ঠে, ‘‘যে কষ্টটা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে প্লেয়ারদেরকে এখন, স্পেশালি যে এরকম একটা পরাজয় আমরা এত অল্প সময়ে পিচে কাটিয়েছি। আমরা নিয়মিতভাবে ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারছি না এবং এখন এই আফগানিস্তানের সঙ্গে তো একদমই হাফ অফ দা কোটাও আমরা ঠিকভাবে খেলতে পারিনি।’’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি শনিবার মাঠে গড়াবে। মিরপুরেই আরো দুটি ওয়ানডে খেলবে দুই দল। রশিদ খানের মতো বোলার না থাকা বাংলাদেশের জন‌্য স্বস্তির জানিয়ে গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রতিপক্ষ এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমরা আবুধাবি সেই পিচেও খেলছি না। হোমের নিজের মিরপুরের উইকেটে খেলছি এবং প্রতিপক্ষেও রশিদদের মতো কিংবা অন্যান্য যে স্পিনার যারা ছিল অত্যন্ত উচ্চমানের, সেরকম স্পিনারদেরও মুখোমুখি করা হতে হচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য একটা কিছুটা রিলিফের পয়েন্ট।’’ 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের ধকল সামলানোর সুযোগ পাচ্ছে না দল। খুব দ্রুতই তাদেরকে মাঠে নামতে হচ্ছে, যা চ‌্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন লিপু, ‘‘এটা (হারের কষ্ট) বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ানোটা অত্যন্ত কঠিন একটা খেলোয়াড়ের জন্য এবং শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তিতে সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন আছে প্লেয়াররা। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে এই দ্রুত মাঠে ফেরত আসা যেমন বেশ চ্যালেঞ্জিং যে আপনার এরকম একটা মাইন্ডসেটআপ থেকে, বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে মাঠে ফেরত আসা, ঠিক একইভাবে আমি মনে করছি করি যে দ্রুত সফলতার মুখ দেখে, ভালো ক্রিকেট খেলে, আমার মনে হয় যে যে গ্লানিটা আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে করেছি, ব্যাটিং স্পেশালি, সেটা থেকে আমরা নিজেদেরকে রিকভার করে একটা সফলতার জায়গায় নিয়ে আসতে পারবো বলে আমি মনে করি।’’