খেলাধুলা

অভিজ্ঞতায় সৌম‌্য দলে, মাহিদুলকে নিয়ে ২০২৭ বিশ্বকাপের ভাবনা

সৌম‌্য সরকার আবার জাতীয় দলে ডাক পেলেন। এই নিয়ে কতবার তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হলো, আর তিনি কতবারই বা এলেন তা হয়তো নিজেও ভুলে গেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন‌্য তাকে নেওয়া হয়েছে। স্কোয়াডে লিটন নেই। অভিজ্ঞতায় সৌম‌্য এগিয়ে। তাই তাকে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রথমবার ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এক টেস্ট খেলা মাহিদুলকে নিয়ে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত স্বপ্ন দেখছেন নির্বাচকরা। তাকে পর্যায়ক্রমে তৈরি করা হবে বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সৌম‌্যর যাওয়ার কথা সংযুক্ত আরব আমিরাত। যেতে পারেননি ভিসা জটিলতায়। খেলেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে। যেখানে ফাইনাল ম‌্যাচে চরম বাজে ব‌্যাটিংয়ে রান করেছেন ২২ বলে ৮। আউটের ধরণ দেখলে তাকে নিয়ে নির্বাচকরা দ্বিতীয়বার ভাবনার কারণ নেই। অথচ তাকেই কিনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ফেরানো হলো। 

কারণ জানাতে গিয়ে গাজী আশরাফ বলেছেন, ‘‘সাইফ হাসান তার কাজটা করে দিচ্ছে। তাকে আরও আরেকটু বেটার করতে হবে, তার ইনিংসটা লম্বা করতে হবে। তার পাশাপাশি আমরা সেই জায়গাতে আপনারা দেখেছেন সৌম্য সরকারকে ফেরত নিয়ে এসেছি। তিনি অনেক অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। প্রায় ৮০টার মতো (আসলে ৭৬) ওডিআই খেলে ফেলেছেন। প্রায় ১০ বছর ধরে খেলছেন এবং গত বছরের শেষে নভেম্বরের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তার ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট সফলতা আছে এবং সেই দলটার সঙ্গে আমরা খেলছি। লিটন দাস যেহেতু নেই দলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা সেখানে নিয়ে এসেছি সৌম্য সরকারকে।’’

নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সৌম‌্য। এরপর এই বছর এক ওয়ানডেতে দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে শূন‌্য রানে আউট হন। এরপর তেমন কোথাও রান পাননি বাঁহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। তবুও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাকে নেওয়া হলে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক টেস্ট খেলেছেন মাহিদুল। তাকে প্রথমবার নেওয়া হয়েছে ওয়ানডে দলে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে মাহিদুল খেলেছেন ৯৬ ম্যাচ। ৪ সেঞ্চুরি ও ২৮ ফিফটিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রান করেছেন। গড়টাও সুন্দর, ৪৪.৫৩। গত মে মাসে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন যথাক্রমে ১০৫ ও অপরাজিত ৪২।

তার থেকে বড় আশা গাজী আশরাফের, ‘‘আমরা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে এনেছি। আমরা ২০২৭-এ পরবর্তী বিশ্বকাপটাও ওয়ানডে ফরম‌্যাটে খেলবো। সাম্ভাব‌্য তালিকাটা বৃদ্ধি করার জন্য যারা প্রতিযোগী থাকবে তার মধ‌্যে মাহিদুলের নাম আসবে। বেশ উজ্জ্বল। তাকে এনে এই ব‌্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়ানো হয়েছে। ওখানে যারা ব্যাটিং খুব একটা ভালো করতে পারেনি, এক দুজনকে কিছু ম্যাচের জন্য ব্রেক আমরা দিতে পারবো। সেই সুযোগটাও এখানে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে মাহিদুলকে নিয়ে। আমরা আমাদের মূল মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান থেকে কাউকেই উপেক্ষিত রাখিনি।’’