জাতীয়

নাবিক ভর্তি: প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে নৌবাহিনী

নাবিক ভর্তির প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন হোটেল ধানসিড়ি এবং হোটেল সোসাইটিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

টকরা হলেন আশিকুর রহমান ও মো. বশির উদ্দিন।

পরে আটক প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযানে হোটেল সোসাইটির ২০ নম্বর কক্ষ থেকে বিভিন্ন ভুয়া প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র, স্বাক্ষরিত ব্ল‍্যাংক চেক ও আনুষাঙ্গিক নথিপত্র জব্দ করা হয়।

বৃহষ্পতিবার (১৬ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

তারা জানায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে এ-২০২৬ ব্যাচের নবীন নাবিক এবং এমওডিসি (নৌ) ভর্তির কার্যক্রম গত ৯ অক্টোবর থেকে চলমান রয়েছে। ভর্তির কার্যক্রম চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

অভিযানে হোটেল সোসাইটির ২০ নম্বর কক্ষটি প্রতারক চক্রের সদস্যরা অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করত। আটকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি বিভিন্ন হোটেল থেকে প্রতারণার শিকার ১৬ জন চাকরি প্রার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতারক চক্রের সদস্যরা ১০-১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত ব্ল‍্যাংক চেক ও ব্ল‍্যাংক স্ট্যাম্প গহণ করে। এছাড়াও প্রতারকরা চাকরি প্রার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত ভুয়া প্রশ্ন ও উত্তরপত্র সরবরাহ করার প্রমাণাদি পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নাবিক নিয়োগ একটি অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নাবিক নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। নৌবাহিনীতে নাবিক ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে প্রতারক চক্র চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করে থাকে।

তবে নৌবাহিনীর সদস্যদের তীক্ষ্ণ নজরদারি, ভর্তি কার্যক্রমের সুব্যবস্থাপনা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে এ ধরনের অবৈধ অপচেষ্টামূলক কার্যক্রম অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।