ক্যান্সার চিকিৎসা ও গবেষণায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) অবদান, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৪১৭ নম্বর মিলনায়তনে ‘ক্যান্সার চিকিৎসায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান’ শিরোনামে সেমিনারটি আয়োজিত হয়।
এতে দেশের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। আলোচকরা ক্যান্সার চিকিৎসায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণার ক্ষেত্র এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ডিএটি থিওরি, ন্যানোটিউবস ফর লাং ক্যান্সার, আইআর স্পেকট্রাম অ্যানালাইসিস, বায়োসেন্সরসহ প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান মেডিকেল ফিজিসিস্ট ডা. এম জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. মো. কবির উদ্দীন সিকদার।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. শ্যামলী মোস্তফা।
অধ্যাপক ডা. মো. রেজাউল করিম বলেন, “ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতামূলক সেমিনারগুলো আরো বেশি বেশি করা দরকার। জনসচেতনতা ও খাদ্যাভ্যাসই পারে ক্যান্সারে আক্রান্তের হার কমাতে।”
অধ্যাপক ড. মো. কবির উদ্দীন সিকদার বলেন, “বাংলাদেশে মেডিফিজিক্স বলতেই গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বোঝায়। আমাদের শিক্ষার্থীদের যদি গবেষণার আরো সুযোগ দেওয়া হয় তারা বহিঃর্বিশ্বে ভালো করবে।”
বাংলাদেশের ক্যান্সার চিকিৎসায় মেডিফিজিক্সদের অবদান ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ডা. এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “চিকিৎসক বোঝেন রোগীর কথা আর একজন মেডিফিজিসিস্ট বোঝেন মেশিনের কথা। আধুনিক চিকিৎসা সেক্টরে তালমিলিয়ে চলতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন যুগোপযোগী একাডেমিক শিক্ষা ও গবেষণার।”
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।