প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাকিব খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশ। সোমবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টায় বগুড়া শহরের নারুলী এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাকিবকে গ্রেপ্তার করে রাতেই ঢাকায় নিয়ে গেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। নিয়ে যাওয়ার সময় তারা আমাদের বিষয়টি অবগত করেছে। ভোররাত ৪টার দিকে তারা বিষয়টি আমাদের জানায়।’’
তিনি বলেন, ‘‘সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় সাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ঢাকায় নিয়ে গেছে। এর বাইরে আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত আর তথ্য নেই। মামলার কাগজপত্র আমাদের কাছে এলে তখন জানতে পারব, বিষয়টি কী?’’
বগুড়ায় ২০২৪ -এর জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকে সাকিব খান সক্রিয় ছিলেন। পরে কেন্দ্র থেকে তাকে এ আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ঢাকার শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুরের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীর নির্দেশে শাহবাগ থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে সোমবার (২০ অক্টোবর) সাইবার সুরক্ষা আইনে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় সাকিব খানকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’
কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাকিবের বিরুদ্ধে। যেমন, এসপিকে জেলায় পদায়ন করবে বা উপ-সচিবকে সচিব বানাবে- এমন। এভাবে টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে।’’
কী পরিমাণ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এটা তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বলা যাবে।’’