সারা বাংলা

শেখ হাসিনার ওপর হামলা: সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৪ আসামি খালাস

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিব উল ইসলাম হাবিবসহ ৪৪ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ তারিকুল হাসান বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে দায়ের করা এ সব মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দিয়ে আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন।’’

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীর খোঁজখবর নিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়। বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ছিল হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়। 

আদালতে আসামিদের পক্ষ আইনজীবী ছিলেন আমিনুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান। আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রকৃতপক্ষে কোনো ঘটনাই ঘটেনি; বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলাগুলো করা হয়।’’ 

এ মামলায় হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন ও অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। 

এর আগে একই ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায়ও আসামিরা খালাস পান।  যার মধ্যে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ১০ বছরের সাজা বাতিল করেন হাইকোর্ট। ওই রায় দেন বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিত স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখতে যান। 

হাইকোর্টের এ রায়ের পর বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছেন।