অর্থনীতি

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর থেকে আর্থিক সহায়তা পেল ২ পরিবার

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় দুই মৃত ক্রেতার পরিবারকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সিলেটে ওয়ালটনের দুই ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম- কবির এন্ড ব্রাদার্স এবং সিদ্দিকী ইলেকট্রনিকস কর্তৃপক্ষ।

পরিবারদ্বয়ের পক্ষ থেকে মো. জালাল মিয়ার (মৃত) স্ত্রী মরিয়াম আক্তার হনুফা ও ফজলু মিয়ার (মৃত) স্ত্রী মরিয়ম বেগম আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন। আর্থিক সহায়তা পেয়ে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারা।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শহরের পীরের বাজারে ওয়ালটনের ‘কবির এন্ড ব্রাদার্স’ শোরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি পরিবারকে মোট দুই লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়। পরিবার দুটির বকেয়া কিস্তির টাকাও মওকুফ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী এবং ওয়ালটন ডিষ্টিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস মো. ফিরোজ আলম।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, খাদিমপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বদরুল ইসলাম আজাদ, ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শহীদুজ্জামান রানা, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার পিয়াল কুমার দাস, কবির অ্যান্ড ব্রাদার্স এর ভাইস চেয়ারম্যান জামাল আহমদ সিদ্দিকী ও সিদ্দিকী ইলেকট্রনিকস এর স্বত্বাধিকারী কবির আহমদ সিদ্দিকী প্রমুখ।

জানা গেছে, চামেলিবাগ এলাকার ক্রেতা জালাল মিয়া গত মে মাসের ১৭ তারিখে কবির অ্যান্ড ব্রাদার্স শোরুম থেকে কিস্তিতে ২৪ হাজার ৯৯০ টাকার একটি এলইডি টিভি কেনেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অন্যদিকে, সিলেট সদর শহরের পূর্ব লামা পাতা এলাকার ফজলু মিয়া বাসায় ব্যবহারের জন্য চলতি বছলের মার্চের ৩০ তারিখে সিদ্দিকী ইলেকট্রনিক শোরুম থেকে কিস্তিতে ৪৩ হাজার ৫৭০ টাকা দামের একটি ফ্রিজ কেনেন। তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসের ১ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দুই মৃত ক্রেতার পরিবারের বিপদের দিনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন। বকেয়া কিস্তি মওকুফসহ তাদেরকে দেওয়া হয়েছে নগদ আর্থিক সহায়তা।

সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, “ওয়ালটনের ক্রেতাদের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুতে এই বিপদের দিনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে শোরুম কর্তৃপক্ষ এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ব্যাপার। শুধু তাই নয়, বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করে দিয়েছে তারা। এটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এসব সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওয়ালটন তার ক্রেতাদের হৃদয়ে স্থায়ীভাবে স্থান করে নিচ্ছে। এসব কাজ একমাত্র ওয়ালটনের দ্বারাই সম্ভব। ওয়ালটন নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।”

এ সময় অন্যান্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকেও এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস মো. ফিরোজ আলম বলেন, “দেশ ও মানুষের সেবায় মানবিক দিক বিবেচনায় ওয়ালটন এসব অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে। শুধু মুনাফা অর্জনই ওয়ালটনের লক্ষ্য নয়। ক্রেতাদের কারণেই ওয়ালটন আজ দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। তাই ক্রেতা ও তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তাদেরকে উচ্চমানের পণ্য ও সঠিক সেবা দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওয়ালটন পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা আরো বৃদ্ধি, গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করার লক্ষ্যেই দেশব্যাপী এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে ওয়ালটন। এসব কার্যক্রম চলামন থাকবে।”