যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েলকে অধিকৃত পশ্চিম তীর সংযুক্তকরণের পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট (নেসেট) যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ অবসানের পরিকল্পনাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। খবর বিবিসির।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করার পরেই বুধবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার দুটি বিল প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেছে।
বিলটি পূর্ণাঙ্গভাবে আইনে পরিণত হলে পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সার্বভৌম ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, “আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পরিষ্কার করে বলেছেন, এটা এমন কিছু নয় যা আমরা এখন সমর্থন করতে পারি। আমরা মনে করি এটি শান্তি চুক্তির জন্য সম্ভব্য হুমকি।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র যেসব আরব ও ইসলামি রাষ্ট্রের কাছে গাজায় স্থিতিশীলতা বাহিনী পাঠানো ও আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানাচ্ছে, তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অধিকৃত পশ্চিম তীর সংযুক্তকরণ একটি ‘রেডলাইন’।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধের অবসান, পুনর্গঠন, স্থিতিশীল শাসনব্যবস্থা এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাব্য পদক্ষেপের জন্য ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য রুবিও আজ ইসরায়েল সফর করবেন।
তার আগে বুধবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে দেখা করেন। বৃহস্পতিবার ভ্যান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মারের সাথে দেখা করার কথা ছিল।
পশ্চিম তীর জুড়ে বসতিতে প্রায় সাত লাখ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী বাস করে। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মহল আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।
ইসরায়েলের সরকার পশ্চিম তীরের সাথে বাইবেলের এবং ঐতিহাসিক সংযোগের কথা উল্লেখ করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে আসছে।
পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতিস্থাপনের ঘটনাকে কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্য শান্তির পথে একটি বড় বাধা হিসেবে দেখা হয়ে আসছে।
বিলটি পাস হওয়ার এক মাস আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে না।