জাতীয়

উপন্যাস ‘মোকাম সদরঘাট’ নিয়ে বুকটক

কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার রচিত উপন্যাস ‘মোকাম সদরঘাট’ নিয়ে আলোচনা সভা হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গলবুকসের উদ্যোগে রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে গবেষক ও প্রাবন্ধিক ফাল্গুনী তানিয়া বলেন, “বইটি আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। বড় প্রেক্ষাপটের দীর্ঘ উপন্যাস লেখকের শক্তিমত্তা যেমন প্রকাশ করেছে, তৈরি করেছে নতুন আরো প্রত্যাশা। তার কাছে এমন দীর্ঘ আর শক্তিশালী লেখা পাঠক হিসেবে আমরা আরো চাই। সত্যিকার অর্থে বইয়ের পাঠ এবং দর্শন দুটোই আমাকে আনন্দ দিয়েছে।”

আলোচক সোহানুজ্জামান বলেন, “বইটির পরতে পরতে লেগে আছে এমন সব অভিজ্ঞতা যা আমরা সবসময় দেখি। কিন্তু দেখেও যেন দেখি না। সেসব অভিজ্ঞতা অম্লমধুর রস মিশিয়ে লেখক প্রকাশ করেছেন। যা পাঠককে মোহিত করে, আনন্দিত করে, সংগ্রামের শক্তি যোগায়। লেখকের কাছে এই উপন্যাসের পর প্রত্যাশার পারদ আরো বহুগুণ বেড়ে গেছে। কামনা করি তার এই বিজয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক।”

উপন্যাসটির লেখক মনি হায়দার বলেন, “আবির হাসান আর তারিন আখতারের পথ এসে মিলিত হয়েছে ঢাকার সদরঘাটে, অজস্র যাত্রীদের পায়ের চিহ্ন ধরে হাঁটতে হাঁটতে। প্রতি দিনের হাজার হাজার মানুষের পদযাত্রায় সামিল হয়েছে শিমুল আহসান আর মিলি মাহজাবীন সেই মোকাম সদরঘাট-এ। সঙ্গে সংগ্রামমুখর অজস্র চরিত্র-সবাই ছুটছে জীবনের সন্ধানে, প্রতিষ্ঠার সোপানে ক্ষতবিক্ষত পা রাখতে। নদীপথের জীবন ও জীবিকা, যাত্রী ও লঞ্চ সম্পর্কে বাংলা ভাষায় এক অনবদ্য উপন্যাস ‘মোকাম সদরঘাট’। এছাড়া বইটি নান্দনিকরূপে পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বেঙ্গলবুকসের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক আজহার ফরহাদকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাতে চাই বেঙ্গলবুকস টিমকে, তাদের প্রত্যেকের শ্রমের ছোঁয়া লেগে আছে আমার উপন্যাস ‘মোকাম সদরঘাট’-এর প্রতিটি পৃষ্ঠায়।”

সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব, লেখক ও অনুবাদক খায়রুল আলম সবুজ, রফিকুর রশীদ, ড. তপন বাগচী, সরকার আব্দুল মান্নান, ফয়সাল আহমেদ, আশফাকুজ্জামান, আঁখি সিদ্দিকা।