প্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ চলছে। জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে পূর্ব দিকে দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের জমিগুলোর শ্রেণি সঠিক আছে কিনা তা পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একরামুল সিদ্দিক।
তিনি বলেন, “এর আগেও জমির শ্রেণি সঠিক আছে কিনা দেখা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে এখন আবার অধিকতর যাচাই করা হলো। কারণ এর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের আর্থিক বিষয় জড়িত রয়েছে। যাচাই শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপর তৈরি করা হবে প্রাক্কলন । দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে এবং আমরা দুটি মৌজায় মেডিকেলের জন্য এখানে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করব।”
চূড়ান্ত পর্যায়ে জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও প্রকল্পের উপ-পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি।
ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, “২০১৮ সালে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ইতোমধ্যে দুইটি ব্যাচ চিকিৎসক হয়ে বেরিয়েছে। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে বর্তমানে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। ফলে জেলা ও আশপাশের অনেক রোগী সেবা নিতে পারছেন।”
তিনি আরো বলেন, “জমি অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে শ্রেণি যাচাই-বাছাই কাজের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। মেডিকেলের অবকাঠামো নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।”