বিশেষ নিয়োগ ও সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা পর্যন্ত পদযাত্রা করতে চেয়েছিলেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। কিন্তু শাহবাগ মোড়ের আগে থানার সামনে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন। পরে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অর্ধশতাধিক তরুণ-তরুণী শাহবাগে অবস্থান নেন। তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেও চাকরির সুযোগ না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।
শুক্রবার তারা যমুনার সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিলে পুলিশ শাহবাগেই আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করেছে এবং কয়েকজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তরুণীকে জোরপূর্বক সরিয়ে নিয়েছে।
রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা তাদের রাস্তা থেকে সরে গিয়ে মিছিল করতে বলেছি। এ সময় নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তেমন কোনো ঘটনার উদ্ভব হয়নি।”
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, “তাদের কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তা থেকে সরিয়ে জাদুঘরের সামনে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে।”
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তারা গত এক বছরের মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না পাওয়ায় তারা আবারও রাস্তায় নেমেছেন। তাদের মূল দাবি তিনটি—প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করা; বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পরিবর্তন করে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা বিশেষ পদ সৃষ্টি করা এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য শিক্ষক পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া।